পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ( রায় যদি কেবল সময়ের প্রতি নির্ভর করিতেন, তবে কি তিনি এই ঘোর তিমিরাচ্ছন্ন কালে ব্ৰাহ্মধর্মের সুত্রপাত করিতে সমর্থ হইতেন ? কেবল সময়ের প্রতি নির্ভর করিলে চলিবেক না । সময়ের কেশ ধরিয়া তাহাকে ক্রমশঃ অগ্রসর করিয়া দিতে হইবেক । আমরা প্ৰচলিত ধৰ্ম্মাবলম্বী অপেক্ষা এই বিষয়ে আপনাদিগকে ভাগ্যবানু বোধ করি যে ঈশ্বরের যথার্থ স্বরূপ আমরা জানিতে সমর্থ হইয়াছি। কিন্তু আমরা কি তাহদিগের অপেক্ষা আর এক বিষয়ে দুর্ভাগ্য নাহি যে তঁহারা আপনাদিগের হৃদগত বিশ্বাসানুসারে কার্য্য করেন, আমরা সে রূপা করি না ? কৈ এ বিষয়ে তো আমাদিগের যত্ন নাই । বৰ্ত্তমান কাল নিদ্রা যাইবার কাল নহে। অতি গুৰুতর কাল উপস্থিত হইয়াছে। পরিবর্তনের সময় অতি গুৰুতর সময় ৷ এখন আমরা যদি সাহস প্ৰকাশ করি, তবে ভবিষ্যদ্বংশ কৃতজ্ঞচিত্তে আমাদিগকে ধন্যবাদ করিবে । যখন সকলে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশানুসারে কার্য্য করিবে, তখন এ দেশ এক নুতন আকার ধারণ করিবে। তখন অজ্ঞানান্ধকার ও কুসংস্কার এদেশ হইতে তিরোহিত হইবে, হিন্দুসমাজ শ্ৰী সৌভাগ্যে বিভূষিত হইবে। ভারতবর্ষ সবে নিদ্রা হইতে আম্পে আম্পে জাগরিত হইতেছে ; সুপ্তোথিত বীর পুৰুষ যেমন নবোৎসাহের সহিত বীরত্ব সুচক কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হয়, তেমনই ভারতবর্ষ ধৰ্ম্মোন্নতি সংসাধনে প্ৰবৃত্ত হইবে। হে পরমাত্মন! কবে সেই দিবস আগমন করিবে: যখন আমাদের দেশের লোকেরা তোমার যথার্থ স্বরূপ অবগত হইবে, ব্ৰাহ্মধর্মের জয়পতাকা এদেশে উড়াউীন হইবে, বিশ্ববিজয়ী ব্ৰহ্ম নাম চতুর্দিকে নিনাদিত হইবে, ভারতভুমি জ্ঞান