পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| १8 | কখনই থাকিতে পারে না। যিনি আমাদিগকে এতদ্রপ অনায়াসে সুখী ফরিতে পারেন, তঁহার মঙ্গল-স্বরূপের প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভর কর । মৃত্যুর পরে যে কত সহজে কত প্রকার আনন্দ তিনি প্ৰদান করিবেন, তাহা এক্ষণে কে বলিতে পারে ? : " কে বা জানে কত সুখ-রত্ন দিবেন। মাতা, লয়ে তঁর অমৃত নিকেতনে ৷” যে সুখ-ভাণ্ডার ঈশ্বর আপনার ভক্তের জন্য প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন; তাহা চক্ষু দর্শন করে নাই, কর্ণও শ্ৰবণ করে নাই, মানুষ্যের মন কম্পনা করিতেও সমর্থ হয় ই । সে সুখ-ভাণ্ডার উপভোগ করিবার জন্য কেবল ঈশ্বরকে প্ৰীতি ও তাহার প্ৰিয় কাৰ্য সাধন আবশ্যক হয় । এমন সহজ ও সুন্দর উপায় থাকিতে আমরা যদি সে সুখভাণ্ডার অধিকার করিবার উপযুক্ত না হই, তবে আমরা কি হতভাগ্য ! অহোরাত্ৰ ধৰ্ম্মের সৌন্দৰ্য অবলোকন কর, আহোরাত্ৰ সেই মঙ্গলময়ের “ আনন্দ-জনন সুন্দর আনন” দর্শন কর, অহোরাত্ৰ ভঁাহার অমৃত সহবাসের মাধুৰ্য্য আস্বাদন কর, অহোরাত্র আপনার চরিত্র সংশোধন কর, অহোরাত্ৰ ঈশ্বরের প্ৰতি প্ৰীতি ও তাঁহার প্রিয় কাৰ্য সাধন করি ; তাহা হইলে এক দিন কি ? প্ৰতি দিনই বসন্তের উৎসব তোমাদের হৃদয়ে বিরাজ করিবে। ধৰ্ম্মবীৰ্য্যে সর্বদা বীৰ্যবান থাক, ধৰ্ম্মোৎসাহে সৰ্ব্বদা উৎসাহান্বিত থাক, ‘দিনে নিশীথে ব্ৰহ্ম-যশ গাও,” সাংসারিক শোচনায় অভিভূত হইয়া আপনাকে দীনভাবাপন্ন ও মলিন করিও না । নিৰুৎসাহ ও নিরানন্দ থাকিবার জন্য ঈশ্বর আমাদিগকে সৃষ্টি করেন নাই । তিনি আনন্দ বিতরণ উদ্দেশেই জীবের সৃষ্টি করিয়াছেন । যে ব্যক্তি