পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ Ꮣ-8 ] তাহার আর চক্ষু ফিরাইবার সাধ্য হইতেছে না। ব্যাকুলতাশান্তিকর ভিষিক্‌ আছেন, কিন্তু আমাদিগের ব্যাকুলত কোথায় ? প্ৰেমী কে হইল যে প্রেমাম্পদ তাহার প্রতি প্ৰীতি-দৃষ্টি না করিলেন ? যে ব্যক্তি ঈশ্বরের সৌন্দৰ্য নিরীক্ষণ করিবার নিমিত্ত ব্যাকুল হয়, ও উপহার নিকট প্রার্থনা করে, তিনি তাহার সমীপে আত্মস্বরূপ প্রকাশ করেন। ঈশ্বর যে ব্যক্তিকে সীয় সৌন্দর্ঘ্যের প্রকৃত উপাসক দেখেন, তিনি তঁহার মনশ্চক্ষুর সম্মুখে আপনার সৌন্দৰ্য্য ক্রমশঃ অধিকতর প্রকাশিত করিতে থাকেন। এ অবস্থাতে সাধকগণ “উৎসবৎ উৎসবং যান্তি সৰ্গাৎ স্বৰ্গৎ সুখ্যাৎ সুখম্।।” উৎসব হইতে উৎসবে, স্বর্গ হইতে স্বৰ্গে, সুখ হইতে সুখে উপনীত হয়েন । এই রূপে তাহারা পৰিত্ৰ যৌবন বিগত হইয়া যখন তঁহার বাৰ্দ্ধক্য উপস্থিত হয়, তখন কি তাছার আনন্দের হ্রাস হয় ? কখনই নয় । বরং ভাহা অন্তকালীন সুৰ্য্যের জ্যোতির ন্যায় আরো গাঢ় ও পরিপক্ক হয়। বাঁহাে বাৰ্দ্ধক্যের চিকু, অন্তরে চির-যৌবন ও চির-বসন্তু, এই বাহু বসন্ত সেই আধ্যাত্মিক বসন্তকে উদ্দীপন করিয়া দিতেছে। যিনি বসন্তের সৌন্দর্ঘ্যে, সখ্যভাবের সৌন্দৰ্য্যে ও স্বীয় সৌন্দর্ঘ্যে বিরাজ করিতেছেন, এস আদ্য আমরা সকলে মিলিত হইয়া তাহার গুণ গান করত। আমাদের জীবনকে সুন্দর করি । ও একমেবাদ্বিতীয়ম