পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুন ১৭৮৭ শক । বসন্তু ঋতু উপস্থিত, প্ৰাতঃস্থৰ্য সমুদিত, গোপগিরি প্রফুল ল্লিত। আমরা এই শুভক্ষণে এককালে নূতন ঋতু, নুতন দিবস, নুতন শরীর ও মনের নুতন” বীৰ্য, লাভ করিয়াছি। সকলই অভিনব ; এখন আমাদের ভক্তি-পুষ্প অভিনব রূপ ধারণ পূর্বক সেই মঙ্গলময়ের চরণে কি অৰ্পিত হইবে না ? বন, উপবন, গিরি, কানন, স্রোতস্বতী, তঁহার মহিমা কীৰ্ত্তন করিতেছে ; পক্ষিগণ বৃক্ষশাখায় আরূঢ় হইয়া ভঁাহার গুণ গান করিতেছে; মলয়সমীরণ মন্দ মন্দ প্রবাহিত হইয়া ভঁাহার যশ প্রচার করিতেছে ; স্বয়ং বসন্তু গন্ধ-পুষ্প হন্তে লইয়া তঁহার পূজার জন্য অগ্রসর DBBBYSBDB D BDBD DDD S DBDBB DDD DBDBD থাকিব ? তিনিই এই নব ঋতু, নব পত্র, নব নব কলিকা প্রেরণ করিতেছেন। যিনি ব্যাধিকে আরোগ্যে, বিপদৃকে সম্পদে, পরাজয়কে জয়ে পরিণত করেন ; তিনিই বসন্তের প্রকাশ করেন। যিনি শীতকে বসন্তে, ব্যাধি আরোগ্যে, বিপদ সম্পদে, পরাজয় জয়ে পরিণত করেন ; তিনি কি মৃত্যুকে অমৃতেতে পরিণত করিতে পারেন না ? সেই পারলৌকিক জীবন বসন্তের ন্যায় আমাদিগের সম্বন্ধে স্ফরিত হইবে ; বান্থি সুৰ্য আমাদিগের সম্মুখে এক্ষণে যেরূপ দীপ্তি পাইতেছে, তাহা অপেক্ষা উজ্জ্বলতর রূপে প্ৰেম-সুৰ্য পরলোকে আমাদের সম্মুখে দীপ্তি পাইবেক । যে মঙ্গলময় পিতা আমাদিগকে ইহকালে ধৰ্ম্মাচরণের সুখের পর আবার পরলোকে এরূপ আনন্দ