পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

go হইতে ব্যাপক কাল দূর থাকা প্রযুক্ত কত সোঁহার্দের লোপ হয়—যে পৃথিবীতে কত কত সুন্দর যুবতনু মনোহর মুকুলের ন্যায় অসময়ে পড়িত হইয়া ভূমিতে পরিণত হয়—যে পৃথিবীতে কত কত মহানু ও সুচাৰু-বুদ্ধি, ব্যাধি ও বাৰ্দ্ধক্যাবস্থা হেতু নত ও শ্ৰীহীন, হয়। —মনের কি আশ্চৰ্য স্বভাব। কখন দুঃখেতে আকুল, কখন আনন্দ-দিলোলের আর শেষ থাকে না ; যখন দুঃখেতে আকুল তখন বিষঃ-বেশ-ধারিণী পৃথিবী কেবল দুঃখরই অ্যালয় বোধ হয়, যখন আনন্দের উৎস চিত্ত হইতে উৎসারিত হইতে থাকে, তখন সকল বস্তু আনন্দে পূর্ণ দেখিয়া মন কেবল অ্যানন্দেরই মহিমা এইরূপে কীৰ্ত্তন করে যে পৃথিবী কি আনন্দ-ধাম! বে। পৃথিবীতে এই শরীর বিষয়ক কতকগুলি নিয়ম পালন করিলে শারীরিক সুস্থতা বোধের আর সীমা থাকে না—যে পৃথিবীতে রাজা অবধি কৃষক পৰ্যন্ত আপনাদিগের মনের আনন্দ গানে সর্বদা প্ৰকাশ করিতেছেযে পৃথিবীতে কোন অভাব মোচন করিলে, কোন অসুখের কারণ নিরাকরণ করিলে আপনাদিগকে অতি স্বচ্ছন্দ বোধ করা যায়—যে পৃথিবীতে যতোধিক পরিশ্রম ততোধিক বিশ্রামসুখ, ষন্দ্রপী ক্লেশ তৎপরিমাণে আরাম প্রাপ্তি – যে পৃথিবীতে সংসার বিষয়ক জ্ঞান যত আয়ত্ত হয় তত তাহা ভবিষ্যতে কুশলের প্রতি কারণ হয়—যে পৃথিবীতে প্রচুর বিদ্যা ও জ্ঞান উপার্জন ৷ হইতে পারে—যে পৃথিবীতে সৰ্ব্বোপরি সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বরের জ্ঞান পৰ্যন্ত উপাৰ্জন করা যায়—যে পৃথিবীতে যথার্থ শুরুত্ব দ্বারা মোহকে জয় করিলে অতি উচ্চ ও বিমলানন্দের সম্ভোগ হয়- “যে পৃথিবীতে কত কত সাধু ব্যক্তির দর্শন