রাজমোহন বলিল, ভেবে দেখ সর্দ্দার, তার কি কোনও দরকার আছে?
—আহা, আমি আগেই বলেছিলাম তুমি—
রাজমোহন কথায় একটু জোর দিয়া বলিল, শোন সর্দ্দার, সবটা শোনই না ওই বদমাস মাগীকে আমি তোমাদের চাইতে কম ঘৃণা করি না। সেদিন সকালে যদি ওকে পেতাম, তা হ’লে দেখতেই পেতে, ওর ওপর আমার কত ভালবাসা! এখন আমি স্বীকার করছি, রক্তটা একটু ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে। ও কাজ করার মত সাহসও এখন নেই, অতটা কঠোরও হতে পারছি না। তা ছাড়া আমরা যে জন্যে ভয় পেয়েছিলাম, সে কাজ সে করে নি; সে মাধব ঘোষের বাড়িতেও যায় নি, কালকের রাত্রের ব্যাপার নিয়ে হৈ-চৈ করে নি। যদি আজ এসব ও না করে থাকে, কালই যে করবে তার মানে কি?
সর্দ্দার একটু ভাবিল, শেষে বলিল, বেশ, আমি এমন একটা জায়গার কথা জানি, যেখানে ওকে পাঠালে তোমার আমার কারও আপত্তি হবে না, বিপদের আশঙ্কাও কিছু থাকবে না।
রাজমোহন জিজ্ঞাসা করিল, কোথায়?
—জিনিস-পত্তর বেঁধে ছেদে তোমার সুন্দরী পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে চল আমাদের সঙ্গে মিৎগুন্টিতে বসবাস করবে।
—ডাকাত হয়ে থাকতে হবে নাকি?
—ডাকাত তুমি নও?
—কাজে হয়তো তাই, কিন্তু নামডাকে ডাকাত হওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।
—ত হ’লে তুমি যাবে না?
—না, এই নচ্ছার স্ত্রী ছাড়াও আমার সংসারে অন্য লোক আছে। তাদের সবাইকে নিয়ে কি ডাকাত হওয়া সম্ভব?