পাতা:রাজযোগ.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান ও সমাধি যুক্তি বলে, “আমি অজ্ঞেয়বাদী, আমি কোন বিষয়ে ইও বলিতে পারি না, নাও বলিতে পারি না’ । কিন্তু এই প্রশ্নগুলির মীমাংসা আমাদের পক্ষে অতীব প্রয়োজনীয়। এই প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর করিতে না পারিলে মানবজীবন অসম্ভব হইয়া পড়ে। এই যুক্তিরূপ বৃত্তের বহির্দেশ হইতে লব্ধ সাধনাসমূহই—আমাদের সমুদয় নৈতিক মত, সমুদয় নৈতিক ভাব, এমন কি, মচুন্য স্বভাবে যাহা কিছু মহৎ ও সুন্দর ভাব আছে, তৎ-সমুদরেরই ভিত্তি। অতএব এই সকল প্রশ্নের সুমীমাংসা না হইলে মানবের জীবনধারণই অসম্ভব হইয় পড়ে। যদি মচুন্যজীবন সামান্ত পাঁচ মিনিটের জিনিষ হয, আর যদি জগৎ কেবল কতকগুলি পরমাণুর আকস্মিক সম্মিলনমাত্র হয়, তাহা হইলে অপরেব উপকার আমি কেন করিব ? দয়া, দ্যায়পরতা অথবা সহানুভূতি জগতে থাকিবাব আবশ্যক কি ? তাহা হইলে আমাদের ইহাই একমাত্র কৰ্ত্তব্য হইয়া পড়ে যে, যাহার যাহা ইচ্ছা, সে তাহাই করুক, নিজের সুথের জন্য সকলেই ব্যস্ত হউক। যদি আমাদের ভবিষ্যতে অস্তিত্বের আশাই না থাকে, তবে আমি আমার ভ্রাতার গলা না কাটিয়া - তাহাকে ভালবাসিব কেন ? যদি সমুদয় জগতের অতীতসত্তা কিছু না থাকে, যদি মুক্তির আশাই না থাকে, যদি কতকগুলি কঠোর, অভেদ্য, জড় নিয়মই সৰ্ব্বস্ব হয়, তবে যাহাতে আমরা ইহলোকে সুখী হইতে পারি, তাহাই আমাদের কৰ্ত্তব্য হইয়৯ পড়ে। আজকাল অনেকের মতে, নীতির ভিত্তি হিতবাদ (Utility ) অর্থাৎ যাহাতে অধিকাংশ লোকের অধিক পরিমাণে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য হইতে পারে", তাকাই >