পাতা:রাজযোগ.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষেপে রাজযোগ পূরণ কবিলে মধ্যম প্রাণারাম ও ৩৬ সেকেও কাল বায়ু পূৰণ কবিলে তাহাকে উত্তম প্রাণারাম বলে। অধম প্রাণায়ামে ঘৰ্ম্ম, মধ্যম প্রাণায়ামে কম্পন এবং উত্তম প্রাণায়ামে আসন হইতে উখান হয়। গায়ত্রী বেদের পবিত্রতম মন্ত্র। উহার অর্থ, “আমরা এই জগতের প্রসবিতা পরম দেবতার বরণীয় তেজঃ ধ্যান করি, তিনি আমাদেব বুদ্ধিতে জ্ঞান বিকাশ করিয়া দিন।” এই মন্ত্রের আদিতে ও অন্তে প্রণব সংযুক্ত আছে। একটু প্রাণায়ামেব সময় তিনটি গায়ত্রী মনে মনে উচ্চারণ করিতে হয়। প্রত্যেক শাস্ত্রেই প্রাণায়াম তিন ভাগে বিভক্ত বলিয়া কথিত আছে—যথা বেচক, বাহিবে শ্বাসত্যাগ ; পূর্বক, শ্বাসগ্রহণ ও কুম্ভক, স্থিতি - ভিত্তরে ধারণ করা । অনুভবশক্তিযুক্ত ইন্দ্রিরগণ ক্রমাগত বহির্মুখীন হইয়া কাৰ্য্য কবিভেছে ও বাহিরের বস্তুব সংস্পর্শে আসিতেছে। ঐ গুলিকে আমাদের নিজের অধীনে আনয়ন করাকে প্রত্যাহার বলে। আপনাব দিকে সংগ্রহ বা আহরণ কবা, ইহাই প্রত্যাহার শব্দের প্রকৃত অর্থ। হৃং-পদ্মে, মস্তকের ঠিক মধ্যদেশে বা দেহের অন্ত স্থানে মনকে ধারণ করাব নাম ধাবণ । মনকে এক স্থানে সংলগ্ন করিয়া, সেই একমাত্র স্থানটিকে অবলম্বনস্বরূপ গ্ৰহণ করির, কতকগুলি বৃত্তিপ্রবাহ উত্থাপিত করা হইল ; অন্তবিধ বৃত্তিপ্রবাহ উঠিয়া যাহাতে ঐগুলিকে নষ্ট না করিতে পাবে তাহার চেষ্টা করিতে কহিতে প্রথমোক্ত বৃত্তিপ্রবাহগুলিই ক্রমে প্রবলাকার ধারণ করিল এবং শেষোক্তগুলিই কমিয়া কমিয়া শেষে একেবাবে চলিয়া গেল; অবশেষে এই বহুবৃত্তিরও নাশ হষ্টয়া একটি