পাতা:রাজযোগ.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসূত্র বিষয় চিন্তা কর, তাছা হইলে দেখিতে পাইবে, যে মুহূৰ্বে ঐ ক্ষুদ্র দেশরূপ ক্ষুদ্রবৃত্ত দেখিতে পাইতেছ, সেই মুহূৰ্ত্তেই উহার চতুর্দিকে অনস্ত বিস্তৃত আর একটি বৃত্ত রহিয়াছে । কাল সম্বন্ধেও ঐ কথা । মনে কর, তুমি এক সেকেও সময়ের বিষয় ভাবিতেছ, তৎসঙ্গে সঙ্গেই তোমাকে অনন্ত কালের কথা চিন্তা করিতে হইবে। জ্ঞান সম্বন্ধেও ঐরূপ মানুষে কেবল জ্ঞানের বীজ-ভাব আছে। কিন্তু ঐ ক্ষুদ্র জ্ঞানের চিন্তা করিতে হইলেই উহাব সঙ্গেসঙ্গে অনন্ত জ্ঞানের বিষয় চিন্তা করিতে হইবে। স্বতবাং আমাদের নিজ মনের গঠন ইহা হুইতেই বেশ প্রতিপন্ন হইতেছে যে, এক অনন্ত জ্ঞান রহিয়াছে। যোগীরা সেই অনন্ত জ্ঞানকে ঈশ্বর বলেন। পূৰ্ব্বেষামপি গুরুঃ কালেনানবচ্ছেদাৎ ॥২৬ সূত্রার্থ।—তিনি পূর্ব পূর্ব (প্রাচীন ) গুরুদিগেরও গুরু, কারণ, তিনি কালদ্বারা সীমাবদ্ধ নন। ব্যাখ্য' । আমাদিগের অভ্যন্তরেই সমুদয় জ্ঞান রহিয়াছে বটে, কিন্তু অপর এক জ্ঞানের দ্বারা উহাকে জাগরিত করিতে হইবে । জানিবার শক্তি আমাদের ভিতবেই আছে বটে, কিন্তু উহাকে জাগাইতে হইবে। আর যোগীরা বলেন, ঐরূপে জ্ঞানের উন্মেষ কেবল অপর একটি জ্ঞানের সাহায্যেই সম্ভব হইতে পারে। জড়, অচেতন ভূত কথল জ্ঞান বিকাশ করাইতে পারে লা— কেবল জ্ঞানের শক্তিতেই জ্ঞান বিকাশ হইয়া থাকে । আমাদের ভিতরে ৰে জ্ঞান আছে, তাহার উন্মেষের জষ্ঠ জ্ঞানী

  • నీ