রাজযোগ ধ্যান করেন, তখনই অন্যান্ত সমুদয় বস্তুকে মন হইতে সরাইয়া দিতে পারেন। তিনি ষে বিষয় ধ্যান করেন, সে বিষয়ের সহিত এক হইয়া যান (তৎস্থিতত ও তদঞ্জনতা ) ; যখন তিনি ধ্যান কবেন, তিনি যেন একখণ্ড স্ফটিকতুল্য হইয়া যান। পুষ্পের নিকট স্ফটিক থাকিলে, ঐ স্ফটিক যেন পুষ্পের সহিত একরূপ একীভূতই হইয়া যায়। যদি পুষ্পটি লোহিত হয়, তবে স্ফটিকটিও লোহিত দেখায়, যদি পুষ্পটি নীলবর্ণবিশিষ্ট হয় তবে, স্ফটিকটিও নীলবর্ণবিশিষ্ট দেখায় । তত্ৰ শব্দার্থজ্ঞানবিকল্পেঃ সঙ্কীর্ণ সবিতর্ক সমাপত্তিঃ ॥ ৪২ ॥ সূত্রার্থ।—শব্দ, অর্থ ও তৎপ্রসূত জ্ঞান যখন মিশ্রিত হইয়া থাকে, তখনই তাহা সবিতর্ক অর্থাৎ বিতর্কযুক্ত সমাধি বলিয়া কথিত হয়। ব্যাখ্যা । এখানে শব্দ অর্থে কম্পন। অর্থ অর্থে যে স্বায়বিক শক্তিপ্রবাহ উহাকে লইয়া ভিতরে চালিত করে, আর, জ্ঞান অর্থে প্রতিক্রিয়া । আমার এ পর্য্যন্ত যত প্রকার সমাধির কথা শুনিলাম, পতঞ্জলি এসকল গুলিকেই সবিতর্ক বলেন। ইহার পর তিনি আমাদিগকে ক্রমশঃ, আরও উচ্চউচ্চ সমাধির কথা বলিবেন । এই সবিতর্ক সমাধিগুলিতে আমরা বিষয়ী ও বিষয়—এই দুইটি সম্পূর্ণরূপে পৃথক রাখিয়া থাকি ; উহ শৰ, উহার অর্থও তৎপ্রস্থত জ্ঞানমিশ্রণে উৎপন্ন হয়। প্রথম বাস্থকল্পন—শবা ; উছ। ইন্দ্রিয়প্রবাহদ্বারা ভিতরে প্রবাহিত 為Vア*