পাতা:রাজযোগ.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बछै। অধ্যায় প্রত্যাহার ও ধারণা প্রাণtয়ামের পর প্রত্যাহীর সাধন কবিতে হয় । এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত এই, প্রত্যাহার কি ? তোমরা সকলেই জান, কিরূপে বিষধামুভূতি হইয়া থাকে । সৰ্ব্ব প্রথমে দেখ, ইন্দ্রিয় দ্বারস্বরূপ বহিরের যন্ত্রগুলি রহিয়াছে. পরে ঐ ইন্দ্রিয়গোলকের অভ্যস্তরবর্তী ইন্দ্ৰিযগুলি—ইহার মস্তিষ্কস্থ স্নায়ুকেন্দ্রগুলির সহায়তায় শরীরেব উপর কার্য্য করিতেছে, তৎপরে মন । যখন এই সমুদরগুলি একত্রিত হইয়া কোন বহিবস্তুর সহিত সংলগ্ন হয়, তখনই আমরা সেই বস্তু অনুভব করিয়া থাকি । কিন্তু আবাব মনকে একাগ্র করিয়া কেবল কোন একটি ইন্দ্রিয়ে সংযুক্ত করিয়া রাখা অতি কঠিন, কারণ, মন ( বিষয়ের ) দাসস্বরূপ । আমরা জগতে সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাই, সকলেই এই শিক্ষা দিতেছে যে, ‘সাধু হও,’ ‘সাধু হও, 'সাধু হও’ । বোধ হয়, জগতে কোন দেশে এমন কোন বালক জন্মায় নাই, যে, "মিথ্যা কহিও না’, ‘চুরি করিও না’ ইত্যাদিরূপ শিক্ষা পায় নাই, কিন্তু কেহ তাহাকে এই সকল অসৎ কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্তির উপায় শিক্ষা দেয় না। শুধু কথায় হয় না। কেনই বা সে চোর না হইবে ? আমরা ত তাহাকে চৌর্য্যকৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্তির উপায় শিক্ষা দিই ৰা, কেবল বলি, ‘চুরি করিও না’। মনঃসংযম করিবার b >