У У о রাজা প্রজা । প্রকাশ করিয়াছি তাহ দেখিয়া কখনো বা পর কখনো বা আtষ্ট্ৰীয় বিরক্ত হইয়াছে, রাগ করিয়াছে, আমাদের অসংযমকে প্রহসন বলিয়া উপহাস করিতেও ক্ষান্ত হয় নাই। বস্তুত বাংলা কাগজে অথবা কোনো বাঙালী বক্তার মুখে যখন অপরিমিত স্পৰ্দ্ধাবাক্য বাহির হইত তখন এই বলিয়াই বিশেষ ভাবে স্বজাতির জন্ত লজ্জা অনুভব করিয়াছি যে যাহারা দুঃসাহসিক কাজ করিবার জন্য বিখ্যাত নহে তাহাদের বাক্যের তেজ দীনতাকে আরো উজ্জল করিয়া প্রকাশ করে মাত্র। বস্তুত বহুদিন হইতে বাঙালীজাতি ভীরু অপবাদের দুঃসহ ভার বহন করিয়া নতশির হইয়াছে বলিয়াই বর্তমান ঘটনাসম্বন্ধে স্তায় অন্যায় ইষ্ট অনিষ্ট বিচার অতিক্রম করিয়াও অপমানমোচনের উপলক্ষ্যে বাঙালীর মনে একটা আনন্দ না জন্মিয়া থাকিতে পারে নাই । অতএব এ কথাটা সত্য যে, বাংলা দেশের মনের জ্বালা দেখিতে দেখিতে ক্রমশই যে প্রকার অগ্নিমূৰ্ত্তি ধরিয়া প্রকাশ পাইয়া উঠিয়াছে ইহাকে আমাদের দেশের বা অদ্য দেশের কোনো জ্ঞানী পুরুষ অবশুস্তাবী বলিয়া কোনো দিন অনুমান করেন নাই। অতএব আজ আমাদের এই অকস্মাৎ বুদ্ধিবিকাশের দিনে, যাহাকে আমার ভাল লাগেন তাহাকে ধরিয়া অসাবধানতার জন্ত দায়ী করিতে বসা সুবিচার-সঙ্গত নহে। আমিও এই গোলমালের দিনে কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে নালিশ উত্থাপন করিতে চাইনা । কিন্তু কেমন করিয়া কি ঘটিল এবং তাহার ফলাফলটা কি, সেটা নিরপেক্ষভাবে বিচার করিয়া আমাদের পথ ঠিক করিয়া লইতেই হইবে ; সেই চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়া যদি একজনের বা অনেকের সঙ্গে আমার মতের অনৈক্য প্রকাশ হয়, তবে দয়া করিয়া একথা নিশ্চয় মনে রাখিবেন, যে, আমার বুদ্ধির ক্ষীণতা থাকিতে পারে, আমার দৃষ্টিশক্তির দুৰ্ব্বলতা থাকা সম্ভব, কিন্তু স্বদেশের হিতের প্রতি ঔদাসীন্ত বা হিতৈষীদের প্রতি কিছুমাত্র বিরুদ্ধ ভাববশত যে আমি বিচারে ভুল
