অত্যুক্তি। b^Չ, রাজকৰ্ম্মচারিগণও এই সকল মঙ্গলকাৰ্য্যের দ্বারা প্রজাদের হৃদয়ের সঙ্গে যোগ রাখিতেন। এখন রাজকৰ্ম্মচারীর অভাব নাই—তাহাদের বেতনও থেষ্ট মোট বলিয়া জগদ্বিখ্যাত—কিন্তু দানে ও সৎকৰ্ম্মে এদেশে তাহাদের অস্তিত্বের কোন চিন্তু তাহার রাথিয়া যান না । বিলাতী দোকান হইতে তাহারা জিনিষপত্র কেনেন, বিলাতী সঙ্গীদের সঙ্গে আমোদ-আহ্লাদ করেন, এবং বিলাতের কোণে বসিয়া অন্তিমকাল পর্য্যন্ত তাদের পেন্সন সম্ভোগ করিয়া থাকেন। ভারতবর্ষে লেডি ডফারিণের নামে যে সকল হাসপাতাল থোলা হইল, তাহার টাকা ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ভারতবর্ষের প্রজারাই যোগাইয়াছে। এ প্রথা খুব ভাল হইতে পারে, কিন্তু ইহা ভারতবর্যের প্রথা নহে –সুতরাং এই প্রকারের পূর্বকাৰ্য্যে আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে না। না করুক, তথাপি বিলাতের রাজা'বিলাতের প্রথামতই চলিবেন, ইহাতে বলিবার কথা কিছু নাই। কিন্তু কখনো দিশি কখনো বিলিতি হইলে কোনোটাই মানানসই হয় না । বিশেষত আড়ম্বরের বেলায় দিশি দস্তুর এবং খরচপত্রের বেলায় বিলিতি দস্তুর হইলে আমাদের কাছে ভারি অসঙ্গত ঠেকে । আমাদের বিদেশী কৰ্ত্তারা ঠিক করিয়া বসিয়া আছেন, যে প্রাচ্যহৃদয় আড়ম্বরেই ভোলে, এই জন্তই ত্রিশকোটি অপদার্থকে অভিভূত করিতে দিল্লির দরবার নামক একটা সুবিপুল অত্যুক্তি বহু চিন্তায়-চেষ্টায় ও হিসাবের বহুতর কশাকশিদ্বারা খাড়া করিয়া তুলিতেছেন—জানেন না যে, প্রাচ্যহৃদয় দানে, দয়াদাক্ষিণ্যে, অবারিত মঙ্গল-অনুষ্ঠানেই ভোলে। আমাদের যে উৎসবসমারোহ, তাহা আহত-অনাহূত-রবাহতের আনন্দ-সমাগম ; তাহাতে এহি এহি দেহি দেহি পীয়তাং ভূজ্যতাং রবের কোথাও বিরাম ও বাধা নাই। তাহা প্রাচ্য আতিশয্যের লক্ষণ হইতে পারে, কিন্তু তাহা খাটি, তাহা স্বাভাবিক ;–আর পুলিসের দ্বারা সীমানাবদ্ধ, সঞ্জনের দ্বারা কণ্টকিত, সংশয়ের দ্বারা সন্ত্রস্ত, সতর্ক কৃপণতার দ্বারা সঙ্কীর্ণ, দয়াহীন দানহীন যে
