পাতা:রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २०8 ] প্রতাপের সময় উড়িষ্যা মহারাষ্ট্রীয়দিগের অধিকারে আসে নাই। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে আলিবন্দী খাঁর নিকট হইতে মহারাষ্ট্ৰীয়েরা উড়িষ্যা লাভ করেন। সম্ভবতঃ তৎকালীন উৎকলবাসীদিগের সহিত প্রতাপাদিত্যের যুদ্ধ হইয়া থাকিবে। কথিত আছে রাজা বসন্তরায়ের অনুরোধে প্রতাপ গোবিন্দদেবকে আনয়ন করেন। তাহা স্থির করিয়া বলা যায় না। প্রতাপের উড়িষ্যাগমনের প্রয়োজনই বা কি ছিল তাহও বুঝা যায় না। কেবল তীর্থযাত্র উদ্দেশ্য হইলে সে বিষয়ে বিশেষ কিছু বক্তব্য নাই। কেহ কেহ মনে করিয়া থাকেন যে, প্রতাপ উড়িষ্যাবিজয়ে গমন করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহার কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই। বিশ্বকোষকার বলেন যে, প্রতাপ মানসিংহের সাহায্যার্থে উড়িষ্য গমন করিয়া গোবিন্দদেবকে আনয়ন করিয়াছিলেন। তাহারও বিশেষ কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে গোবিন্দদেব প্রতাপ কর্তৃক উড়িষ্যা হইতে আনীত ও তজ্জন্ত উৎকলবাসিদিগের সহিত র্তাহার যুদ্ধ হইয়াছিল এই প্রবাদে বিশ্বাস করিয়া তাহার ঐতিহাসিক প্রমাণ সম্বন্ধে আমরা ঐরূপ অনুমান কবিতে পারি। আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি যে, কতলু খ ও বিক্রমাদিত্য এতদুভয়ে দাউদের দক্ষিণ ও বামহস্তস্বরূপ ছিলেন। ১৫৭৫ খৃঃ অব্দে দাউদের পতনের পর বিক্রমাদিত্য স্বীয় রাজধানী যশোরে গমন করেন। কতলুর্থ উড়িষ্যায় গমন করিয়া তাহ নিজ অধিকারভুক্ত করিবার জন্য চেষ্টা করেন। তজ্জন্য উড়িয্যাবাসী ও মোগলদিগের সহিত তাহার যুদ্ধ হয়। এইরূপ অবস্থায় ১৫৯০ খৃঃ অব্দে তাহাকে প্রাণত্যাগ করিতে হয়। তাহার পর তাহার অমাত্য খাজা ইশা তাহার অপ্রাপ্তবয়স্ক পুত্রদিগকে লইয়। রাজা মানসিংহের বগুত স্বীকার করিয়া উড়িষ্যা লাভ করেন। কতলুর্থ ও তদ্বশীয়দিগের সহিত বিক্রমাদিত্য ও বসন্তরায়ের প্রণয় থাকায়, প্রতাপ তাহাদের সাহায্যার্থে বা তাহাদিগের সহিত প্রণয়