পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Do R. রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী শ্ৰীভাগবতে একাদশস্কন্ধে ২০ অধ্যায় ১০ শ্লোক (তাবৎ কৰ্ম্মাণিকুবৰীত ননির্বিদ্যেত যাবতা । মৎকথা শ্রবণাদেী বা শ্ৰদ্ধা যাবান্ন জায়তে ) অর্থাৎ আশ্রম কৰ্ম্ম তাবৎ করিবেক যে পৰ্য্যন্ত কৰ্ম্মে দুঃখ বুদ্ধি হইয়া তাহার ফলেতে বিরক্ত না হয়, অথবা যে পৰ্য্যন্ত আমার কথা শ্রবণ কীৰ্ত্তনাদিতে অন্তঃকরণের অনুরাগ না জন্মে ৷ এই শ্লোকের অবতরণিকাতে ভগবান শ্ৰীধর স্বামী লিখেন ( কাম্যকৰ্ম্মসু প্ৰবৰ্ত্তমানস্ত সৰ্ব্বাত্মনা বিধিনিষেধাধিকার, ইত্যুত্তরাধ্যায়ে বক্ষ্যতি, নিষ্কাম কৰ্ম্মাধিকারিণস্ত যথাশক্তি, সাঁচ জ্ঞানভক্তিযোগাধিকারাৎ প্ৰাগেব, তদাধিকৃতযোস্তু স্বল্পঃ, তাভ্যাং সিদ্ধানাঞ্চ ন কিঞ্চিৎ, সাবধি কৰ্ম্মযোগমাহ ( তাবদিতি ) অর্থাৎ কাম্যকৰ্ম্মে যে ব্যক্তি প্ৰবৃত্ত তাহার প্রতি সৰ্ব্ব প্রকারে বিধি নিষেধের অধিকার হয়। ইহা পরের অধ্যায়ে কহিবেন, কিন্তু নিষ্কাম কৰ্ম্মানুষ্ঠানে যে ব্যক্তি প্ৰবৃত্ত তাহার প্রতি সাধ্যানুসারে কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য হয়, ঐ সাধ্যানুসারে কৰ্ম্মানুষ্ঠানের তাবৎ অধিকার যাবৎ জ্ঞান কিম্বা ভক্তি সাধনে প্ৰবৃত্ত না হয়, এ দুইয়ের একে প্ৰবৃত্ত হইলে অতিশয় অল্প কৰ্ত্তব্য হয়, এবং জ্ঞান কিম্বা ভক্তির দ্বারা সিদ্ধ ব্যক্তির কিঞ্চিৎ ও কীৰ্ত্তব্য নহে। পরের শ্লোকে কৰ্ম্মানুষ্ঠানের সীমা লিখিলেন ( তাবৎ কৰ্ম্মাণি ) পুনরায় ঐ অধ্যায়ের ১৯ শ্লোক ( যাদারস্তেষু নির্বিন্নো বিরক্তঃ সংযতেন্দ্ৰিয়ঃ । অভ্যাসেনাত্মনোযোগী ধারায়েদচলং মন: ) স্বামী, যখন আবশ্যক কৰ্ম্মানুষ্ঠানে দুঃখ বোধের দ্বারা উদ্বিগ্ন ও তাহার ফলেতে বিরক্তি হয়, তখন ইন্দ্ৰিয়াকে সংযত করিয়া জ্ঞানাভ্যাসের দ্বারা পরমাত্মাতে মনকে স্থির করিবেক । ২২ শ্লোক, ( এষ বৈ পরমোযোগো মনসঃ সংগ্ৰহঃ স্মৃতিঃ । হৃদয়জ্ঞত্বমন্বিছন। দম্যাম্ভেবার্বনোমুহু: ) স্বামী, ক্রমশ মনকে বিষয় হইতে নিবৃত্ত করিয়া আত্মাতে স্থির করা পরম যোগের উপায় হয় এনিমিত্ত এই সাধনকে পরামযোগ কহিয়াছেন যেমন অদম্য অশ্বকে দমন করিকার সময় তাহার অভিপ্ৰায় মতে কিঞ্চিৎ যাইতে দিয়া পুনরায় তাহাকে অশ্বগ্রাহ