পথ্য প্ৰদান । V)o \O রজুতে ধারণ পূর্বক আপনি বাঞ্ছিত পথে লইয়া যায়। ২৩ শ্লোক ( সাংখ্যেন সৰ্ব্বভাবানং প্রতিলোমানুলোমতঃ । ভবাপ্যয়াবনুধ্যায়ন মনোযাবৎ প্ৰসীদতি) অর্থাৎ মন কিঞ্চিৎ বশীভূত হইলে তত্ত্ববিবেকের দ্বারা মহাদাদি পৃথিবী পৰ্য্যন্ত তাবৎ বস্তুর ক্রমে উৎপত্তি ও বুৎক্রমে নাশ চিন্তা করিবেক যে পৰ্য্যন্ত মনের নৈশ্চল্য না হয় ৷ ভাগবত শাস্ত্ৰে কথিত কৰ্ম্মানুষ্ঠানের যে সীমা লেখা গেল তাহা ভগবদগীতার অনুরূপ কথন হয়। গীতা ( আরুরুক্ষোমুনোযোগং কৰ্ম্মকারণমুচ্যতে। যোগারূঢ়স্য তস্তৈাব শমঃ কারণমুচ্যতে) জ্ঞানারোহণে যে ব্যক্তির ইচ্ছা তাহার ঐ আরোহণে বৰ্ণাশ্রমাচার কৰ্ম্ম কারণ হয়, সেই ব্যক্তি যখন যোগারাঢ় হইল। তখন তাহার জ্ঞান পরিপাকের নিমিত্ত চিত্ত বিক্ষেপকারি কৰ্ম্মের ত্যাগ ঐ জ্ঞান পরিপাকের কারণ হয় ৷ সেই যোগারাঢ় তিন প্রকার হয়েন। প্ৰথম ( যদা হি নেন্দ্ৰিয়াৰ্থেষু ন কৰ্ম্মস্বনুষজ্যতে। সৰ্ব্বসঙ্কল্পসংন্যাসী যোগারূঢ়স্তদোচ্যতে ) যেকালে সকল সঙ্কল্পকে মনুষ্য ত্যাগ করে, অতএব ইন্দ্ৰিয় বিষয় সকলে ও কৰ্ম্মে আসক্ত না হয়। সেকালে তাহাকে যোগারূঢ় কহ। যায়। এ প্রকার ব্যক্তি কনিষ্ঠ যোগারূঢ় হয়েন, কিন্তু উত্তম যে নিষ্কাম কৰ্ম্মী তাহার তুল্য বরঞ্চ শ্রেষ্ঠ হয়েন, যেহেতু ( এতান্যপি তু কৰ্ম্মাণি) ইত্যাদি গীতার অষ্টাদশাত্ধ্যায়ে ষষ্ঠ শ্লোকের এবং ( কাৰ্য্যমিত্যেব যৎ কৰ্ম্ম ) ইত্যাদি নবম শ্লোকের প্রমাণে উত্তম যে নিষ্কাম কৰ্ম্মী তাহারও সংকল্পত্যাগাধীন কৰ্ম্মে আসক্তি ও ফল কামনা থাকে না, অর্থাৎ কর্তৃত্বাভিমান থাকে নাই, কিন্তু জ্ঞানারোহণে উপক্রম না হওয়াতে নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান থাকে। পরে গীতাতে পূর্ব হইতে শ্রেষ্ঠ যোগারূঢ়োর লক্ষণ কহিতেছেন। ( জ্ঞানবিজ্ঞানতৃপ্তাত্মা কূটস্থো বিজিতেন্দ্ৰিয়ঃ। যুক্ত ইত্যুচ্যতে যোগী সমলোষ্টাশ্মকাঞ্চন: ) অর্থাৎ গুরূপদেশ জ্ঞান ও পরোক্ষানুভব ইহার দ্বারা তাহার অন্তঃকরণ তৃপ্ত হইয়াছে অতএব নির্বিকার ও বিশেষ রূপে ইন্দ্ৰিয়
