of«y & Mթ | N30o Gno আমরা প্ৰথম উত্তরে লিখিয়াছিলাম যে প্রথমতঃ যে ব্যক্তি শ্রদ্ধা পূর্বক জ্ঞান সাধনে প্ৰবৃত্ত হইয়া পশ্চাৎ যত্ন না করিয়া ব্ৰহ্ম প্ৰাপ্তি হইতে ভ্ৰষ্ট হয় সে ব্যক্তি পর পর জন্মে। পূর্বের প্রবৃত্তির ফলে জ্ঞান সাধনে যত্ন বিশিষ্ট হইয়া মোক্ষ প্ৰাপ্ত হয়, আর ইহার প্রমাণের নিমিত্ত ( অযাতিঃ শ্ৰদ্ধয়ো পেতে যোগাচলিতমানসঃ । অপ্ৰাপ্য যোগসংসিদ্ধিং কাং গতিং কৃষ্ণ গচ্ছতি ) ইত্যাদি ভগবদগীতার প্রমাণ দিয়াছিলাম তাহাতে ৮৬ পৃষ্ঠের ১১। পংক্তিতে ধৰ্ম্মসংহারক লিখিয়াছেন যে আমরা অপ্ৰতিষ্ঠিত শব্দের অর্থ “যোগারূঢ়” কহি । উত্তর -এরূপ মিথ্যাপবাদের পরিহার নাই যেহেতু আমাদের উত্তরের ২৩১ পৃষ্ঠে ১৭ পংক্তি অবধি লিখিয়াছি যে “যে ব্যক্তি প্ৰথমতঃ শ্ৰদ্ধান্বিত হইয়া জ্ঞানাভ্যাসে প্ৰবৃত্ত হয় পশ্চাৎ যত্ন না করে এবং জ্ঞানাভ্যাস হইতে বিরত হইয়া বিষয়াসক্ত হয়—সে ব্যক্তি জ্ঞানের অসিদ্ধতা প্ৰযুক্ত মুক্তিকে না পাইয়া নিরাশ্রয় ও ব্ৰহ্ম প্ৰাপ্তিতে বিমূঢ় হইয়া ছিন্ন মেঘের ন্যায় নষ্ট হইবেক কি না” এস্থলে জ্ঞানবান ব্যক্তিরা দেখিবেন যে ভগবান শ্ৰীধর স্বামির ব্যাখ্যানুসারে অপ্রতিষ্ঠিত শব্দের অর্থ “নিরাশ্রয়” লেখাগিয়াছে, অতএব ইহার বিপরীত বক্তাকে যাহা উচিত হয় তাহারাই কহিবেন। পরে ৮৯ ও ৯০ পৃষ্ঠে স্বীয় নীচ স্বভাবাধীন এই মোক্ষ শাস্ত্রের বিচারে গীতা বচনের ক্রোড় পংক্তি সকলে নানা ব্যঙ্গ ও কটুক্তি পূর্বক ৯০ পৃষ্ঠের ১০। পংক্তিতে লিখিয়াছেন যে “এই ভগবদগীতার শ্লোক যোগ শব্দে র্তাহার অভিপ্ৰেত কোন যোগ, জ্ঞানযোগ কি কৰ্ম্মযোগ কি সাংখ্যযোগ।” উত্তর।—ভগবদগীতার ঐ যোগােপায় প্রকরণে (তং বিস্তান্দু:খসংযোগবিয়োগং যোগসংজ্ঞিতং ) এই শ্লোকের ব্যাখ্যাতে ভগবান শ্ৰীধর স্বামী যোগ শব্দের প্রতিপাদ্য কি হয় তাহার বিবরণ স্পষ্টরূপে * করিয়াছেন যে “পরমাত্মা ও জীবাত্মার ঐক্যরূপে চিন্তন, যাহা সকল দুঃখ নাশের প্রতি কারণ
