পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী । ইচ্ছা করাহ। ভাষ্যে এই সকল শ্রুতির যে অর্থ তাহা মূল সহিত লেখা গেল। অতএব কবিতাকার এ সকলের ভাষাকে বিশেষরূপে আলোচনা যেন করেন। ৮ পৃষ্ঠের শেষে কবিতাকার লিখেন যে গায়ত্রী চতুষ্পদ বত্রিশ অক্ষর হয়েন। কিন্তু কোন প্রমাণে কি দৃষ্টিতে লিখেন তাহার উল্লেখ করেন না। মনু যাজ্ঞবল্ক্য প্ৰভৃতি ত্রিপাদ চতুর্বিংশতি অক্ষর গায়ত্রীকে কহিয়াছেন ইহার বিশেষ গায়ত্রীর ভাষা বিবরণ যে আমরা করিয়াছি তাহাতে দেখিবেন গুণবিষ্ণুর ব্যাখ্যার অন্যথা করিয়া গায়ত্রী জপের দ্বারা লোক কৃতাৰ্থ হইতে পরিবেক এই আশঙ্কায় গায়ত্রীতে এই সকল সন্দেহ কবিতাকার উপস্থিত করিতে উদ্যত হইয়াছেন যেন কোনমতে লোক পরব্রহ্মের উপাসনা না করিতে পারে। ১৫ পৃষ্ঠার ১৭ পংক্তিতে লিখেন বেদান্তের ভাষ্যকার সাকার ব্ৰহ্ম মানিয়া আনন্দলহরী স্তব করিয়াছেন। উত্তর। বেদান্তের ভাষ্য প্রস্তুত আছে কোন স্থানে সাকারকে ব্ৰহ্মরূপে ভাষ্যকার মানিয়াছেন তাহা কবিতাকারকে দেখান উচিত ছিল। তবে আনন্দলহরী। দেবি সুরেশ্বরি ইত্যাদি গঙ্গার স্তব। নমো শঙ্কটাকষ্টহারিণী ভবানী ইত্যাদি অনেক অনেক স্তবকে এবং একখান সত্যপীরের পুস্তককে ও শঙ্করাচাৰ্য্যের রচিত কহিয়া সেই সেই দেবতার পূজকেরা প্ৰসিদ্ধ করিয়াছেন এ সকল স্তব বেদান্তের ভাষ্যকার আচাৰ্য্যকৃত ইহাতে প্ৰমাণ কিছু নাই প্ৰধান লোকের নামে আপন আপন কবিতা বিখ্যাত করিলে চলিত হইবেক এই নিমিত্ত আচাৰ্য্যের নামে এই সকল স্তব স্তুতি প্ৰসিদ্ধ করিয়াছেন আর যদ্যপিও তেঁাহার কৃত এ সকল হয় তথাপি হানি নাই যেহেতু ব্ৰহ্মের আরোপে জগতের তাবৎ বস্তুকে ব্ৰহ্ম করিয়া বর্ণন করা যায়। কবিতাকার তৃতীয় এবং চতুর্থ পৃষ্ঠায় যাহা গুরু মাহাত্ম্য লিখিয়াছেন সে সৰ্ব্বথা প্রমাণ এবং যে বচন লিখিয়াছেন তাহার বিশেষরূপে আমরা অর্থবগতি করিলাম তাহার মধ্যে কিঞ্চিৎ লিখি i, নমন্তাভ্যং মহামন্ত্রদায়িনে শিবরূপিণে। ব্ৰহ্মজ্ঞানপ্ৰকাশায় সংসার