পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৭১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভট্টাচাৰ্য্যের সহিত fobot | CAYvō) সর্বদা স্মরণ করেন এবং র্যাহার বিশ্বাস এরূপ হয় যে আমার আরাধ্য দেবতারা নানা প্রকার অগম্যাগমন করিয়াছেন এবং ঐ সকল ইতিহাসের পাঠ শ্রবণ এবং মনন সৰ্ব্বদা করিয়া থাকেন তাহার প্রতি এক প্রকার অগম্যাগমনাদিব আশঙ্কা চাইতে পারে। কিন্তু যে ব্যক্তি এমত নিশ্চয় রাখে যে বিধি নিষেধের কৰ্ত্তা যে পরমেশ্বর তিনি সৰ্ব্বত্রব্যাপী সৰ্ব্বস্রষ্টা সকলের শুভাশুভ কৰ্ম্মানুসাবে সুখ দুঃখ রূপ ফল দেন। সে ব্যক্তি ঐ সাক্ষাৎ বিদ্যমান পরমেশ্বরের” ত্ৰাস প্রযক্ত তাহার কৃত নিয়মের রক্ষণ নিমিত্ত যথাসাধ্য যত্ন অবশ্যই করিবেক । ভট্টাচাৰ্য্য লেখেন যে “এতাদশ শাস্ত্ৰ বিৰূদ্ধ স্বকপোল কল্পিতাজমানে বৈধ বহু পশুবন্ধ স্থানের সিদ্ধ পীঠত্ব প্রসিদ্ধ দৃষ্টাস্তে বুচরখানার সিদ্ধপীঠুত্ব কল্পনা এবং তাদৃশ্য অন্য অন্য কল্পনা যাহারা করে তাহাবা স্বাদী ও তদিতির স্ত্রী মাত্ৰেতে কিরূপ ব্যবহার করে ইহা তাহারদিগকে জিজ্ঞাসা করি ও ” উত্তর, যাহার পর নাই। এমত উপাসনা বিষয়ে নানা প্ৰকার কল্পনা র্যাহারা করিয়া থাকেন তাহারদিগের প্রতি এ প্রশ্ন করা অত্যাবশ্যক হয় । অতএব যে পক্ষে কল্পনা ব্যতিরেকে নিৰ্বাহ নাই তাহারদিগের এ প্রশ্ন করা অতি আশ্চৰ্য্য। ভট্টাচাৰ্য্য প্রশ্ন করেন “যে হে অগ্ৰাহ নাম রূপ অমুকেরা আমরা তোমারদিগকে জিজ্ঞাসি তোমরা কি ? ইত্যাদি|” উত্তর, আমারদিগকে সোপাধি জীব করিয়া বেদে কহেন ইহা দেখিতেছি । ব্ৰহ্মতত্ত্ব বিদিত না হইলে উপাধির নাশ হয় না একারণ তাহার জিজ্ঞাসু হই সুতরাং তাহার প্রতিপাদক শাস্ত্রের এবং আচাৰ্য্যোপদেশের শ্রবণের নিমিত্ত যত্ন করিয়া থাকি । অতএব আত্মমরা বিশ্বগুরু ও সিদ্ধ পুরুষ ইত্যাদি গৰ্ব্ব রাখি না, এবং ভট্টাচার্যের উপুকৃতি স্বীকার করি, যেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তি আপনার আপনি অতি প্রিয় হয়, এনিমিত্তে স্বকীয় দোষ সকল দেখিতে পাইতেছিলাম না, ভট্টাচাৰ্য্য তাহা জ্ঞাত করাইয়াছেন, উত্তম লোকের ক্রোধও বর তুল্যু হয়।