পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४१ ) ও তৎস ও ৷ কোন কোন শ্রুতির অর্থের এবং তাৎপর্যের ફર્ડિ অনৈক্য বুঝায় যেমন- এক শ্রুতি ব্ৰহ্ম হইতে জগতের উৎপত্তি আর এক শ্রুতি আকাশ হইতে বিশ্বের জন্ম কহেন আর.যেমন এক শ্রুতি ব্রহ্মের উপায়নাতে প্রবৃত্ত করেন অন্য শুতি সূর্য্যের কিম্বা বায়ুর উপাসনার জ্ঞাপক হয়েন এবং কোন কোন শ্রুতি বিশেষ করিয়া বিবরণের অপেক্ষ করেন যেমন এক শ্রুতি কহেন যে পাচ্ পাঁচ জন । ইহাতে কি রূপ পাচ পাঁচ জন স্পষ্ট বুঝায় নাই। এই নিমিত পরম কারুণিক ভগবান বেদব্যাস পাঁচশত। পঞ্চাশত অধিক সূত্র ঘটিত বেদান্ত শাস্ত্রের দ্বারা সকল শ্রুতির সমৃদ্ধয় অর্থাৎ অর্থ ও তাৎপর্ঘ্যের ঐকা এবং বিশেষ বিবরণ করিয়া কেবল ব্ৰহ্ম সমুদায বেদের প্রতিপাদ হয়েন ইহা স্পষ্ট করিলেন যেহেতু বেদে পুনঃ পুনঃ প্রতিজ্ঞা করিতেছেন যে সমুদায় বেদে-ব্ৰহ্মকে কহেম এবং ব্রহ্মই বেদের প্রতিপাদ্য হরেন। ভগবান পূজ্যপাদ শঙ্করাচাৰ্য্যভাষ্যের দ্বারা ঐ শাস্ত্রকে পুনরায লোক শিক্ষার্থে সুগম করলেন. এ বেদান্ত শাস্ত্রের প্রয়োজন মোক্ষ হয় আর ইহাব বিষয়-অর্থাৎ তাৎপর্যা বিশ্ব এবং " বন্ধের ঐকা জ্ঞান অতএব এ শাস্থের প্রতিপাদ্য ব্রহ্ম আর এ শার বহ্মের প্রতিপাদক হয়েন । વુિં ব্ৰহ্মণে নমঃ। ও তৎসৎ | অথাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা ৷ ১ ৷ চিত্ত শুদ্ধি হইলে পর ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকার হয় এই হেতু তখন ব্রহ্ম বিচারের ইচ্ছা জন্মে ৷ ১ ৷ ব্ৰহ্ম লক্ষা এবং বুদ্ধির গ্রাহ্য না হয়েন তবে কি রূপে বন্ধ তবে বিচার হইতে পারে এই সন্দেহ পর সূত্রে দূর করিতেছেন। জন্মাদাস্য-য়তঃ ৷ ২ ৷ এই বিশ্বের জন্ম স্থিতি নাশ যাহা ছুইতে হয় তিনি রহ্ম। অর্থাৎ বিশ্বের জন্ম স্থিতি ভঙ্গের দ্বারা ব্রহ্মকে নিশ্চয় করি। যেহেতু কার্য্য থাকিলে কারণ থাকে । কার্যা না থাকিলে কারণ থাকে না। ব্রহ্মের এই তটস্থ লক্ষণ হয় তাহার কারণ এই জগতের দ্বার ব্রহ্মকে, নির্ণয় ইহাত করেন। ব্রহ্মের স্বরূপ লক্ষণ বেদে কহেন যে সত্য সর্বজ্ঞ এবং মিথ্য জগৎ যাহার সত্যত দ্বারা সত্যের ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে। যেমন . মিথ্যা সৰ্প সত্যরজ কে আশ্রয় করিয়া সপের ন্যায় দেখায় শ্রুতুি এবং স্মৃতিল প্রমাণেব দ্বারা বেদের নিতাত দেখি অতএব ব্রহ্ম বেদে ব