( • ৬০৯ ) এই যে বিশেষণ তাহার ভিন্ন হয়েন ন বহিঃপ্রজং অর্থাৎ জাগরণ অবস্থার অধিষ্ঠাতা এই যে বিশেষণ তত্ত্বারো ভিন্ন হয়েন নেভিয়ত: প্রজ্ঞং ཨ་ཡཱ་རི জাগরণ এবং স্বপ্ন এদুয়ের মধ্য অবস্থার অধিষ্ঠাত এই যে বিশেষণ हेश . হইতেও পরমাত্মা ভিন্ন ইয়েন। ন প্রজ্ঞানঘনং অর্থাৎ স্বষুপ্তি অবস্থার অধিঠাত এই যে বিশেষণ ইহা হইতেও পরমাত্মা ভিন্ন হয়েন । ন প্রঞ্জং অর্থাৎ এক কালে সকল বিষয়ের জ্ঞাত এই যে বিশেষণ ইহা হইতেও ভিন্ন পরমাত্মা হয়েন অর্থাৎ পুরমাত্মা ভিন্ন অন্য’বিষয় অপ্রসিদ্ধ সুতরাং ঐ বিষয় না থাকিলে তাহার জ্ঞান কিরূপে হইতে পারে। এই পূর্ব লিখিত বিশেষণের নিষেধ দ্বারা ইহা বুঝাইতেছিল যে পরমাত্মা অচৈতন্য । হয়েন এই নিমিত্ত নাপ্রজ্ঞং অর্থাৎ পরমাত্মা অচৈতন্য নহেন এই শব্দের প্রয়োগ করিয়া পূর্ব সন্দেহ দূর করিলেন। পরমাত্মাকে অন্তঃপ্রজ্ঞঃ বহিঃপ্রজ্ঞঃ ইত্যাদি নানা বিশেষণের দ্বারা বেদে কহিয়াছেন তবে কিরূপে নিষেধের দ্বারঞ্চ সকল বিশেষণকে সিপ্যা করিয়া জানাযায় এই আশস্বার সমাধান ভায্যে করিয়েছেন সে রজ্জতে যেমন একুবার সপভ্রম এক বায় দণ্ডভ্রম হয় যে কালে সপভ্রম জন্মে সে কালে দণ্ডভ্রম থাকে নম্ন আর যে কালে দণ্ডত্রম হয় সেকালে সপভ্রম থাকে না অতএব যথার্থে উভয় মির্থ হই কেবল রজ্জ মাত্র সত্য থাকে সেইরূপ যখন স্বপ্নের অধিষ্ঠাতা করিয়া' চৈতন্যকে কহেন তখন জাগরণের অধিষ্ঠাতা রূপে তাহার প্রতীতি থাকে না অার সর্থন জাষ্ট্ররণের অধিষ্ঠাতা করিয়া চৈতন্যকে কহেন তখন স্বপ্নের অধিষ্ঠাতা রূপে তাহার অনুভব হয় ন৷ অতএব স্বপ্ন জাগরণ ইত্যাদি উপাধি ঘটিত যে সকল বিশেষণ তাহ কেবল মিথ্যা' কিন্তু উপাধিরহিত সৰ্ব্ববিশেষণশূন্য যে শুদ্ধ চৈতন্যস্বরূপু তুরীয় র্তে হই সত্য হয়েন তবে বেদে যে এসকল বিশেষণের দ্বারা কহেন সে উপাধিকে উপলক্ষ্য করিয়া বোধস্বগমের নিমিত্ত কহিয়াছেন কিন্তু ঐ বেদে তুরীয়কে যখন কহেন তখন ঐ সকল উপাধির নিষেধের দ্বারাই কহেন। অদৃষ্টং অর্থাৎ যেহেতু ব্ৰহ্ম সৰ্ব্ববিশেষণ হইতে ভিন্ন হয়েন । এই নিমিত্ত তেহ দৃষ্টিগোচর হয়েন না। অব্যবহার্য্যং অর্থাৎ পরমাত্ম। অদৃষ্ট এই নিমিত্ত তেহে ব্যবহার হইতে পারেন না। অগ্রাইং অর্থাৎ
