পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ४७० ) উপনিষদে কহিয়াছেন যে ব্ৰহ্ম নির্বিষয় ও ইন্দ্রিয়ের অগোচর হয়েন শব্দস্বরূপ হইলে কর্ণেন্দ্রিয় গ্রাহ্য এবং আকাশের গুঃ হইতেন। কণ্ঠশ্রুতিঃ । অশব্দমস্পর্শমরূপমব্যয়ং । মুওক। ন চক্ষুষা গৃহ্যতে নাপি বাচ নান্যৈর্দৈবৈস্তপস কৰ্ম্মণা বা । ব্ৰহ্ম শব্দবিশিষ্ট নহেন এবং স্পর্শবিশিষ্ট'নহেন আর রূপহীন এবং হ্রাসবৃদ্ধিশূন্য হয়েন। ব্ৰহ্ম চক্ষু ও বাক্য গ্রাহ্য নহেন এবং চক্ষু ও বাক্য ভিন্ন অন্য কোনো ইঞ্জিয়ের গ্রাহ্য নহেন আর তপস্যা ও সৎকৰ্ম্ম দ্বারা গ্রাহ্য নহেন। ছান্দোগ্য। সুত যদস্তর তদ্বন্ধ । নাম আর রূপ এ দুই ধাহ হইতে ভিন্ন হয় তিনি ব্রহ্ম। ঐ পৃষ্ঠের ২ পংক্তিতে লিখেন যে আপনাতে ইষ্টদেবতাতে ব্রহ্মেতে অভেদ জ্ঞান হইয়া জীব ফল প্রাপ্ত হইবেক। যদি কবিতাকার এমত লিখিতেন। যে আপনাতে ও দেবতাতে ও জগতে ও ব্রহ্মেতে অভেদ জ্ঞান হইলে জীব কৃতাৰ্থ হয় তবে শাস্ত্রসম্মত হইত যেহেতু শ্ৰীভাগবতের দশমস্কন্ধে ৮৫ অধ্যায়ে ভগবান কৃষ্ণ বসুদেবের প্রতি কহিতে, ছেন । অহং যুগ্মসাবাৰ্য্য ইর্মে চ দ্বারকৌকসঃ । সর্বেপ্যেবং যদুশ্রেষ্ঠ বিমৃগ্যাঃ সচরাচরং । আমি আর তোমরা ও এই বলদেব আর এই দ্বারকাবাসি লোক এ সকলকে ব্ৰহ্মরূপে জানিবে কেবল এই সকলকেই ব্ৰহ্ম জানিবে এমৎ নহে বরঞ্চ চরাচর জগৎকে ব্ৰহ্মরূপে জানিবে । মল্লঃ । এবং য: সৰ্ব্বভূতেষু পশ্যতাত্মানমাত্মন: স সৰ্ব্বসমতামেত্য ব্ৰহ্মাত্যেতি পরং পদং ॥ যে ব্যক্তি পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে সকল ভূতে আত্মাকে সমভাবে দেখে সে ব্যক্তি সৰ্ব্বত্র সমান ভাব পাইয়া ব্ৰহ্ম প্রাপ্ত হয়। কিন্তু আপনাতে ইষ্টদেবতাতে ব্রহ্মেতে অভেদ ভাব আর অন্য বিশ্বেতে ভেদজ্ঞান কৃতাৰ্থ হইবার কারণ হয় ইহা কবিতাকারের"নিজমত হইবেক তিন বস্তুতে অভেদ জ্ঞান আর অন্য সকল বস্তুতে ভেদ জ্ঞান থাকিতে জীব কৃতাৰ্থ হয় ইহা কবিতাকার কোন শাস্ত্রের প্রমাণে লিখিয়াছেন তাহ তাহাকে লিখা উচিত ছিল যেহেতু কেবল দেবতাতে ব্ৰহ্ম বোধ করা ইহাও মুক্তিসাধন জ্ঞান নহে। কেনোপনিষৎ। /ফংি মুন্যসে স্কুবেদেতি দভ্ৰমেবাপি মূলং ত্বং বেখ ব্ৰহ্মণোরূপং। যদস্য ত্বং সদস্য দেবত্বধর্মীমাংসমেব তে মনে বিদিতং। শুরু শিষ্যকে কহিতেছেন | যদি তুমি আপন দেহ ইঞ্জিয়ের অধিষ্ঠাতাকে ব্ৰহ্ম জানিয়া এমং কহ যে আমি সুন্ররূপে ব্ৰহ্মকে জানিলাম তরে ভূমি ব্রহ্মস্বরূপের যৎকিঞ্চিং জানিলে আর