( tッo ) উপনিষদে উক্ত যে মহাস্ত্ররূপ ধনুক তাহাকে গ্ৰহণ করিয়া উপাসনার দ্বারা শাণিত শরকে ঐ ধনুকেতে যোগ করিবেক তুমি সেইরূপে পরমেশ্বরে অৰ্পিত যে মন তাহার সহিত ইন্দ্ৰিয় সকলকে আকর্ষণ করিয়া লক্ষ যে সেই অবিনাশি ব্ৰহ্ম তাহাকে বিদ্ধ করাহ। ৩। এস্থলে প্রণব ধনুঃস্বরূপ হয়েন আর জীবাত্মা শরীস্বরূপ আর লক্ষ সেই ব্ৰহ্ম হয়েন। অতএব প্ৰমাদশূন্য চিত্তের দ্বারা তঁহাকে বিদ্ধ করিয়া শার যেরূপ লক্ষে বিদ্ধ হইয়া মিলিত হয় তাহার ন্যায় জীবাত্মাকে ব্রহ্মের সহিত ঐক্য করিবেক ৷৷ ৪ ৷৷ স্বৰ্গ পৃথিবী আকাশ আর সকল ইন্দ্ৰিয়ের সহিত মন যে ব্ৰহ্মতে সমৰ্পিত হইয়া আছেন সেই এক এবং সকলের আত্মা স্বরূপ যে ব্ৰহ্ম তাহাকেই কেবল তোমরা জানহ। আর কৰ্ম্ম জাল যে অন্য বাক্য তাহা পরিত্যাগ করাহ যেহেতু সেই আত্মজ্ঞান কেবল মোক্ষ প্রাপ্তির দ্বার হইয়াছেন। ৫। যেমন রথচক্ৰেব নাভিতে অর্থাৎ চক্রের মধ্যস্থত কণ্ঠেতে চতুঃপাশ্ববৰ্ত্তি কাষ্ঠী সকল সংলগ্ন হইয়া আছে তাহার ন্যায় যে হৃদয়েতে শরীরব্যাপি নাড়ী সকল সংলগ্ন আছে সেই হৃদয়ে স মধ্যে অহঙ্কারাদির আশ্রয় এবং শ্রবণ দর্শন চিন্তনাদি উপাধি ধৰ্ম্মবিশিষ্ট হইয়া পরব্রহ্ম অবস্থিত আছেন সেই আত্মাকে ওকারের অবলম্বন করিয়া চিন্তা করাহ (শিষ্যের প্রতি গুরুর আশীৰ্ব্বাদ এই ) যে অজ্ঞানরূপ অন্ধকার সমুদ্ৰ হইতে উত্তীর্ণ হইবার নিমিত্ত অর্থাৎ ব্রহ্ম প্রাপ্তির নিমিত্ত তোমাদের বিস্ত্র দূর হউক। ৬। যিনি সামান্যরূপে সকলকে জানিতেছেন এবং বিশেষরূপে সকলকে জানেন ও যাহার শাসনে নানাবিধ নিয়ম রূপ মহিমা পৃথিবীতে বিখ্যাত আছে সেই আত্মা দীপ্তিবিশিষ্ট যে হৃদয়স্থিত শূন্য তাঁহাতে অবস্থিত আছেন এবং মনোময় হয়েন ও স্থল শরীরের হৃদয়ে সন্নিধান পূর্বক প্রাণ ও সূক্ষম শরীরকে অন্যত্ৰ চালন করিতেছেন। আনন্দ স্বরূপ অবিনাশি এবং স্বয়ং প্ৰকাশিত হয়েন যে সেই আত্মা তঁহাকে বিবেকি ব্যক্তিরা শাস্ত্র ও গুরূপদিষ্ট জ্ঞানের দ্বারা পরিপূর্ণরূপে সর্বত্র জানিতেছেন। ৭। কারণ স্বরূপে শ্রেষ্ঠ আর কার্য রূপে নুন যে সেই সৰ্ব্বস্বরূপ আত্মা র্তাহাকে জানিলে হৃদয়ের গ্ৰন্থি অর্থাৎ গ্রন্থির ন্যায় দৃঢ় যে বুদ্ধিস্থিত অজ্ঞান জন্য বাসনা তাহা নষ্ট হয়। আর সর্বপ্রকার সংশয়ের ছেদ হয়
