পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃপ্ত রাজল כי כי রাজা। সেকি মহারাণি ! তুমিও এই ভীরুতাকে সমর্থন কর ? কবি কাঞ্চন না হয় পাগলা মানুষ তার মুখে এ কথা শোভা পায়। সে বলে কি জানো অলকা,—জীবন আমাদের বহু তপস্তার পুণ্য ফল । বহু দেবতার আশীৰ্ব্বাদে এ জীবন আমাদের সফল হয়। তাই ওই মলয়বাসীরা মগধের রক্তপিপাসু তরবারের আঘাতে অপঘাতে সেই অমূল্য জীবন নষ্ট হতে দিতে রাজী নয়, তাই তারা পালিয়েছে। নিজেদের ভোগ্য বস্তু সব সঙ্গে নিয়ে — যেমন স্ত্রী, পুত্র, পরিবার। আর তার সঙ্গে তাদের সঞ্চিত অর্থরাশি, জীবনে নব রস উৎপাদনের বীজমন্ত্র। তারা চায় যৌবনকে সার্থক করতে, জীবনকে পরিপূর্ণরূপে উপভোগ করতে । তোমারও কি তাই মত মহারাণী ? রাণী । না মহারাজ ও মত আমার নয় । আমার মনে হয় জীবন যৌবন সার্থক করবার জন্ত তারা যুদ্ধ থেকে বিরত হয়নি। নিশ্চয়ই কোন মহাপুরুষের সংস্পর্শে এসেছে তারা, কারণ যৌবন যদি বাধাকে জয় না করে তবে তার সার্থকতা কোথায় মহারাজ ? যৌবন যেখানে তার বীর্ঘ্য প্রকাশে অক্ষম সেখানে সে পঙ্গু, সেখানে সে ঘৃণ্য ; বাৰ্দ্ধক্য এসে ধরেছে তার অন্তরে, সেইখানেই তার মরণ ঘটেছে। রাজা । তবে তোমার কি মনে হয় রাণি ? রাণী । আমার মনে হয় তা নয় মহারাজ, অস্তরের কোন সাড়। বোধ হয় তারা পায়নি তাই তারা যুদ্ধ করেনি। ভেবেছ বোধ হয় যুদ্ধ হিংসার মূৰ্ত্তিমতী বাস্তবিক । যুদ্ধে রক্তপাত, যুদ্ধে মহামারী, যুদ্ধে দুভিক্ষ। মানুষ মানুষের রক্তপাত করবে এ বোধ হয় তারা চায় না। ভাবে যে রক্ত তাদের নিজেদের শরীরে প্রবাহিত সেই রক্ত কেমন করে তারা মগধ সৈন্তের বক্ষ বিদীর্ণ করে নিজের চোখ দিয়ে দেখবে । যে রক্ত তার স্বজন করতে পারে না এক বিন্দু, তারই স্রোত কেমন