পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ রাজল প্রথম অঙ্ক করে বহাবে । তাই বোধ হয় তারা পালিয়েছে নিজেদের পাপ থেকে বঁচিয়েছে আর তার সাথে সাথে মগধদেরও। রাজা । ও কি বলছে। অলকা ! এ কার মুখের কথা বলছে রাণি ! মনকে আমার দুর্বল করে দিও না । যুদ্ধ আমার প্রিয়, যুদ্ধই আমার আনন্দ । বিজিতদের মুখে আমার নামে যে একটা আতঙ্কের ছাপ পড়ে তাই হচ্ছে আমার সবচেয়ে অহঙ্কার । তুমি সব কি বলছো অলকা ! রাণী শুনি নাকি মহারাজ মলয়রাজ বৌদ্ধসন্ন্যাসী । আমার ইচ্ছা করে লুকিয়ে গিয়ে দেখে আসি মহারাজ, মলয় রাজমহিষী কেমন করে তার সেবা করে। যাবে মহারাজ একদিন তাদের দেখতে ? জেনে যে সনাতন রীতির ব্যতিক্রম ক’রে, সে সাধারণ মানুষের অনেক উৰ্দ্ধে, ইন্দ্রিয় ভোগীরা তার নাগাল পায় না । রাজা । তুমি কি বলতে চাও মহারাণী যুদ্ধ না করে দূরে সরে গিয়ে সে আমাকে পরাজিত করেছে তার মহত্ত্ব দেখিয়ে । রাণী । হয়ত বা হ’বে । রাজা । চুপ কর, চুপ কর অলকা। আমার মধু্যামিনীর ভ্রণহত্যা করোনা । ষাও, যাও এখান থেকে যাও । [ ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া গমনোন্মুখ রাণীর প্রতি ] অলকা, অলকানন্দ প্রিয়া আমার, আমার ঔদ্ধত্যকে মার্জন কর । রাণী । প্রভু ! রাজা । চল আমরা হংস সরোবরে যাই আমাদের নূতন রাজপথ দিয়ে । রাণী। দাসীকে ক্ষমা কর প্রভু। রাজপথ দিয়ে যেতে আমার লজ্জ করে নাথ । শত সহস্র পুরুষচোখের চাহনি আমার গায়ে বেন তীক্ষ্ণ তীরের মত বেঁধে । মনে হয় মাটির সঙ্গে মিশে যাই ।