পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭ রাজল ७वंशंग खाद Ιαπαμαμα কাপুরুষ । কিন্তু বাজা যন্ধে কি আছে ভাইক আছে হত্যা, আর হত্য, কারা বেশী হত্যা করতে পারে তারই প্রতিযোগিতা, যাও রাজা ফিরে যাও, রাজ্য পড়ে আছে প্রজারঞ্জন কর গিয়ে। যুদ্ধ কেন কর বন্ধু, হিংসা কেন আন কেনই বা কর অযথা রক্তপাত । জগন নাকি রাজা গৌতম একদিন কত কেঁদে ছিলেন রক্ত দেখে । যাও রাজা ফিরে য{ও । সিংহবাহু । তবে একি সত্য মহারাজ অস্তরের কোন সাড়া পাও নি তুমি যুদ্ধ করবার। অন্তর তোমার কি বলে ছিল রাজন ? মলয়রাজ । অস্তর আমার কি বলেছিল জান রাজা, জন্ম-জন্মা স্তর চলেছে অনন্তকাল ধরে । তারই মাঝে ক্ষণিক আমাদের এই জীবন যেন এক একটী বিলাস বিভ্রম । কিন্তু তবুও এ আমাদের বিধাতার দেওয়া অজ্ঞাত এক সুযোগ, এ জীবন যদি আমরা অপব্যয় করি তবে জেনো আমরা হব অপরাধী | নিৰ্ব্বাণ লাভ আমাদের ক্রমেই হ’য়ে উঠবে দুর্লভ। তারপর শোন রাজা । যখনই ভাবি যুদ্ধের কথা তখনই কেবল যেন শুনতে পাই আৰ্ত্তনাদ আর হা-হা-কার, যারা মরে যায়, তারা বেঁচে যায় । যার ফিরে আসে বেঁচে তারা মরে অনাহারে, মরে রোগে, মরে শোকে । কিন্তু আমি তাদের রাজা, আমি তাদের কতটুকু সেবা দিতে পারি, কেউ আমার জন্তে হাত দিয়েছে, কেউ ভাই দিয়েছে, নয়ত বা কেউ ফিরে এসে দেখেছে তার গ্রাম বিপক্ষদল পুড়িয়ে দিয়েছে ছারখার করে । তার মুখের সংসার এ পৃথিবী ছেড়ে গেছে যেন অজানা ওই মঙ্গল গ্রহে । কত অভিশাপ কত দীর্ঘশ্বাস বহন করতে হয় বলত রাজা স্বর্ণময় ওই রাজমুকুটের নীচে ? কাজ কি ভাই, রাজ্য তুমি চাও, রাজ্য লহ গিয়ে । কেবল একটী অনুরোধ— তোমার প্রজাদের তোমার সস্তানের মত দেখো সম্পূর্ণ আপন করে, দেখো তাদের হাসিকান্না, দেখো তাদের জীবন-মরণ ।