পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शर्छ मृथ 弓门乙FM ኟፃ সিংহবাহু । তোমার এ কি ধৰ্ম্ম রাজা ? মলয়রাজ ! এ আমার ত্যাগ-ধৰ্ম্ম রাজন—এ শুধু নিজের ভোগজবৃত্তির যৎকিঞ্চিৎ কিছু দেওয়া নয়। নিজের সব কিছু দেওয়া । সিংহবাহু । ধন্ত, ধন্ত মলয়রাজ । সত্যই তুমি আমায় পরাজিত করেছো । মলয়রাজ ! আমার একটী কথা রাখবে ভাই । মলয়রাজ । কি বন্ধু । মগধরাজ । মলয়রাজ ! আমার ইচ্ছা হয় আমি তোমার সার্থী হই । নেবে ভাই তোমার মন্ত্রে দীক্ষিত করে । সত্যই ত—কেন আমরা অকারণ বিশ্বস্রষ্টার স্বষ্টি ক্ষয় করি । কেন আমরা অকারণ জগতের শস্তি হরণ করি । বাচবার জন্তে যদি অর্থ জমানো হয় ত আমরা কেন সকলে মিলে সকলে বাচবার মত অর্থ সকলের হ’য়ে জমা করি না এক পবিত্র নাম নিয়ে । রাজা তুমি কি বল । মলয়রাজ ! আমিও বলি তাই । যুদ্ধ তখন মানবের প্রয়োজন যখন তার কাছে জীবনের ঝুঁচাটাই সব চেয়ে বড়। আর এই বঁাচার পথে যা বাধার স্বষ্টি করে তাই হ’ল পাপ । এই বঁচা যে কি আর জীবনের বাধ। যে কি—তারই মানে লোকে সব সময় ঠিক কৰ্ত্তে পারে না, তাই জগতে আর এক জাতের দ্বন্দ্বের স্বষ্টি হয় । আমার কি মনে হয় জান রাজা । মানবের এই সভ্যতার বিকাশ বস্তার জলের মত ক্ৰমবৰ্দ্ধমান অবস্থায় চলে যুগ যুগ ধরে ; কত চর, কত বেলাভূমি ভেঙ্গে চুরে চুরমার করে । তারপর তাতে আসে একটা নিস্তব্ধ নিথর ভাব । যেখানে হয় স্বষ্টি, যেখানে হয় লীলা । ক্রমে দিন যায় মানুষ অতিষ্ট হ’য়ে ওঠে। নুতন স্বষ্টির বন্যা আসে পুরাতনের জড়তা ভেদ করে । স্বষ্টি চলে মানুষ এগিয়ে যায় । এই নুত্তন পুরাতনের সন্ধিস্থলে জন্ম হয় মহা মানবের । আমার বুদ্ধ, আমার প্রাণের ঠাকুর জেনে রাজা ওই মহা মানবদেরই একজন। এমনি কত বুদ্ধ, এমনি কত গৌতম