গিয়া যাঁহার নিকট গাড়ি ভাড়া করিয়া ভাড়ার টাকা জমা দিয়াছিল, কালীবাবু তাঁহা কর্ত্তৃকও পরিচিত হইল; সহিস-কোচবান্ ত চিনিয়াই ছিল। জহরতের দোকানের মালিক ও আমলাগণ কালীবাবুকে সবিশেষরূপেই চিনিয়াছিলেন; করেন্সি আফিসে যাঁহার নিকট হইতে নম্বরী-নোট বদ্লাইয়া কালীবাবু খুচরা নোট ও নগদ টাকা লইয়া রামজীলালের নাম ও ঠিকানা লিখিয়া দিয়াছিল, তিনিও কালীবাবুকে ভাল করিয়া দেখিয়া বলিলেন যে, এই ব্যক্তিই রামজীলালের নাম ও ঠিকানা লিখিয়া আট হাজার টাকার নম্বরী-নোট ভাঙ্গাইয়া লইয়াছিল। এইরূপে বিধাতার চক্রে পড়িয়া আজ কালীবাবু আর উদ্ধার পাইল না।
যথাক্রমে কালীবাবুর মোকদ্দমা মাজিষ্ট্রেট সাহেব দায়রায় পাঠাইয়া দিলেন। সেই স্থানে জুরির বিচারে কালীবাবু হত্যাপরাধে দোষী সাবাস্ত হইল, এবং তাহার কার্য্যের উপযুক্ত দণ্ড প্রাপ্ত হইল। বিচারে তাহার ফাঁসির হুকুম হইল। *
সম্পূর্ণ।
*মাঘ মাসের সংখ্যা,
“রকম রকম।”
অর্থাৎ জুয়াচুরির অদ্ভুত অদ্ভুত বৃত্তান্ত!)
যন্ত্রস্থ।