পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Ο 8, মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন চরিত। s) হইতে র্তাহার কাশীবাসের কথা হইতেছে। সেই অবধি তিনি ইদানীন্তন বিষয় কার্য্যে অনেকটা হতাদর হইয়াছিলেন । দল্লির দরবারের সময় শরৎসুন্দরী “মহারাণী” উপাধি লাভ করেন, কিন্তু তিনি খেলাত গ্রহণ করেন নাই। গবর্ণমেণ্টকে সেই উপলক্ষে জানাইয়াছিলেন, তিনি বিধবা, সে সম্মান তাহার গ্রহণীয় নহে। মহারাণীর দান এত বিস্তৃত এবং তাহা সাধারণে এত পরিচিত যে তাহার উল্লেখ মাত্রই এখানে যথেষ্ট । কিন্তু তিনি অতি গোপনে নিজের আমলাদেরও অজ্ঞাতে যে সকল দান করেন, আজিকার এই বাহাড়ম্বরের দিনে তাহার কিছু পরিচয় দিতে হইতেছে। আজি পৰ্য্যন্ত প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা দান করিয়াছেন। প্রাতে শয্যা ত্যাগ করিবার কিছু পরে বৈষয়িক কাগজ পত্র দেখা এবং সংবাদপত্র পাঠ করা তাহার একটা দৈনিক নির্দিষ্ট কাৰ্য্য। সেই সময় পরিচিত দুঃখী স্ত্রীলোক, বালক এবং বালিকাদল আসিয়া তাহাকে ঘিরিয়া বসে ; কেহ কঁাদিতেছে, ঘরে খাবার নাই, কাহারও কাপড় নাই, কাহারও ছেলের ব্যারাম, চিকিৎসা হয় না । সকলেই দুঃখের কান্না কঁাদিতেছে, শুনিতে শুনিতে মহারাণী চক্ষের জল মুছিতেছেন। সকলেরই অভাব মোচন করিতে হইবে, কাহাকেও বিমুখ করা হইবে না। রাজবাটীতে অবশু চিকিৎসকের অভাব নাই, ইঙ্গিত মাত্রেই দুঃখিনীর ছেলেটার চিকিৎসা হইতে পারে। কিন্তু মহারাণী অতি গোপনে তাহার হস্তে উপযুক্ত অর্থ দিয়া ডাক্তার আনাইয়া চিকিৎসা করাইতে উপদেশ করেন। o কোমল বয়সে স্বামীর যত্নে মহারাণী সামান্ত লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন। তাহার পর নিজের যত্ন ও অধ্যবসায়ের গুণে সেই শিক্ষা বিশেষ উৎকৰ্ষ লাভ করিয়াছে, তাহার নিজের একটা লাইব্রেরী আছে । এদেশে যে কোন স্বশিক্ষিতের পক্ষে সেইরূপ পুস্তকরাশির সংগ্ৰহ