পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ॐ १ কষ্টে নিকটস্থ কনিষ্ঠ সহোদরাকে কহিয়াছিলে{ যে, “এইমাত্র যে সংবাদ পাইলাম, তাহা তোমরা শুনিয়াছ কি ? পাপ আমাকে ছাড়িল না, সম্পত্তি ওয়ার্ডেস গ্রহণ করিল না। কিন্তু, আমি যে ছাড়িয়াছি, আর তাহ হাতে লইতে হইবে না।” সেই দিন দ্বাদশী, পূৰ্ব্ব দিনের একাদশীর উপবাসেও,তিনি কিছুমাত্র কাতর ভাব প্রকাশ করিয়াছিলেন না। সেইদিন শেষ রাত্রিতে একবার অধিক পরিমাণে দাস্ত হইয়া কিছু ক্লিষ্ট হইয়াছিলেন। ২৫শে ফাস্তৃণ প্রাতে পুঠিয়ীর পত্রাদি পাঠ অন্তে, প্রাথদিগকে সাধ্যমত দান করিয়া একবার পায়খানায় গুমন করেন। সেবারেও অতিরিক্ত পরিমাণে দাস্ত হইয়। বড়ই অবসন্ন৷ হইয়াছিলেন। তখন সকলেই ব্যস্ত হইয়। উঠিল। তাহার ভগিনী প্রভৃতি উচ্চৈঃস্বরে রো দন করিতে লাগিলেন । তিনি চৈতন্ত পাইয়। সকলকেই “শরীর অনিত্য, কেহই চিরদিনের জন্ত সংসারে আইসে না, তাহার মত অৰ্দ্ধমৃত বিধবার আজি মুখের দিন” ইত্যাদি কথায় প্ৰবোধ দিয়া বস্ত্রাদি পরিবর্তন পূৰ্ব্বক নিত্য পূজার্থ কম্বলে শয়ন করিলেন । তখন সকলেই ঔষধ সেবন নিমিত্ত অনুরোধ করিলেন । কেহ বাrঔষধ সেবন না করিয়া প্রাণত্যাক্ত হইলে আত্মহত্যার পাপ হয়, বলিয়া যুক্তি প্রদর্শন করিতে লাগিলেন। তখন তিনি একটা মাত্র ঔষধ খাইবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে তাহাই সম্পাদিত হইল। পরে গুরুপত্নীকে শিরোদেশে উপবেশন করাইয়। তাহার চরণযুগল অৰ্চ্চন। অন্তে মালা জপ , আরম্ভ করিলেন । তাহার ভগিনী প্রভৃতিকে হঠাৎ তাহার এইরূপ নূতন ব্যবহার দৃষ্টে কান্দিতে দেখিয়া দিব্য জ্ঞান শালিনী শরৎসুন্দরী, ভগিনীদিগকে সেই শেষ সমাধির সময় বিরক্ত না করিয়া স্থানান্তরে যাহতে সঙ্কেত করিলেন। ক্রমে মাল৷ ফিরাইতে ফিরাইতে দক্ষিণ হস্ত অশাঢ় হইয়া আসিল । এবং হাত হইতে জপমালা স্থলিত