পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిషీ মহরাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত। হইবামাত্র জপ সা সঙ্গে সঙ্গে অজপা শেষ হইল ; চক্ষু স্থির করিয়া অনন্ত নিদ্রায় অভিভূত হইলেন। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ পৰ্য্যন্ত, কেহই মৃত্যুলক্ষণ অনুভব করিতে পারিয়াছিল না । মৃত্যুর প্রাক্কালে মুখের জ্যোতিঃ যেন বৃদ্ধি পাইয়াছিল। উৰ্দ্ধশ্বাস অথবা অন্ত কোনরূপ যাতন, কিম্বা দেহের স্পন্দন মাত্রও, কেহ উপলব্ধি করিতে পারে নাই । নিকটে স্ত্রী পুরুষে অনুনি পঞ্চাশ যাইট জন ব্যক্তি র্তাহার মুখের দিকে দিবার দিব্যালোকে চাহিয়া থাকিয়াও, তাহার শেষ নিশ্বাসের কাল,বুঝিতে পারে নাই। শেষে মালা পতনের পরে চক্ষু স্থির দেখিয়া র্তাহার জীবনান্ত বিষয়ে কাহার কাহার প্রতীতি হইয়াছিল । - আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, মৃত্যুশয্যায় শয়ন করিয়াও প্রকৃত কৰ্ম্ম অনুষ্ঠানে তাহার অনুমাত্রও বিস্মৃতি কিম্বা বৈরক্তি ছিল না। মৃত্যুর পূর্বদিন তাহার, ভগিনীপতির এক বিধবা ভ্রাতৃবধুর মৃত্যু হয়। মহারাণী, । পরদিন আপনি মৃত্যুশয্যায় থাকিয়াও, তাহার শ্রাদ্ধের সাহায্য একশত টাকা দান করিয়া মৃতার আত্মীয়দিগকে নানা কথায় সান্থনা করিয়াছিলেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে কিম্বা মৃত্যুকালে, তাহার শরীরে অথবা স্বরে যাতন স্বচক কোনও লক্ষণ প্রকাশ পাইয়াছিল না। তিনি সুঠাম সুন্দরী না হইলেও তাহার বর্ণ সুগের ছিল । এবং আকৃতি সুদীর্ঘ ও হৃষ্ট পুষ্ট সুকান্তি যুক্ত ছিল । তাহাকে দেখিলে, স্বৰ্গীয়া দেবী বলিয়া বিশ্বাস হইত। র্তাহার আসন্নকালে কোন প্রকার মৃত্যুলক্ষণ প্রকাশ পাইয়াছিল না। বরং তিনি পূজা এবং জপে নিয়তা ছিলেন বলিয়া, অনেকেই তাহার আসন্ন কাল বুঝিতে পারিয়াছিল না। ধৰ্ম্মময়ী স্বর্গ সুন্দরী, মর্ত্যলীলা সাঙ্গ করিয়া অনন্ত ধামে অনন্ত ব্রহ্মে লীন হইলেন, তথাপি দেহের কান্তি এবং মুখের লাবণ্য কিছুমাত্র হ্রাস হইয়াছিল না। যেন স্মিত মুখে পরম