পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象し* মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। তাহাই তাহাকে শিক্ষা দিতেন । * বালকও, মহোৎসাহে, তাহা আয়ত্ব করিয়া, সেই লক্ষ্য বিষয়ের চরম উৎকর্ষের জন্য, জীবন অতিবাহিত করিত। বালক উৎসাহী থাকিলে,—তাহার সেরূপ প্রতিভার বল পাইলে, সৰ্ব্বপ্রকার বিদ্যায় সুপণ্ডিত হইত। বর্তমান শিক্ষা, সে প্রণালীর হইলে কোনও আপত্তি ছিল না ; আর এত দুৰ্ব্বিপাকও ঘটিত না। বর্তমান শিক্ষা প্রণালীর দোষে, আত্ম রুচিগত বিদ্যাকে সঙ্কীর্ণ রাখিয়া, পাশের অনুরোধে অরুচিকর বিদ্যা উদরন্থ করিতে হয়। অথচ কোন বিষয়েই পারদর্শীতা জন্মে না, কিম্বা সংসারের পথে সেই বিদ্যা খাটাইয়া কেহ সুখী হইতেও পারে না । শরৎসুন্দরীর প্রকৃতি, আশৈশবই মহত্বের পরিচায়ক হিল । তিনি বাল্যকালে যেমন হৃষ্টপুষ্ট ও সুস্থ ছিলেন, প্রকৃতিও সেইরূপ শুদ্ধ শাস্ত ছিল। র্তাহার দেহে সেই বয়সেই, স্ত্রী-জন-স্থলভ লজ্জার সঞ্চার হইয়াছিল। যে বয়সে অন্য বালিকার উলঙ্গ অবস্থায় থাকে, শরৎসুন্দরী, সেই বয়সে, আপন হাতে কাপড় পরিতে শিখিয়াছিলেন ; বহিৰ্ব্বাটতে আসিতে লজ্জা বোধ করিতেন। র্তাহার শিশু চরিত্রে, এরূপ গুণ সমাবেশের প্রধান কারণ, তাহার পুজনীয়া জননী। দ্রবময়ী, অতি সুশীলা এবং গুণবতী মহিলা ছিলেন । প্রাচীন বয়স পর্য্যন্তও, তাহাকে কেহ, অবগুণ্ঠন মোচন করিতে দেখে নাই । তিনি আজীবন, সংসারের কোনও কর্তৃত্বে যাইতেন না । তিনি আজীবন অন্তের অধীন হইয়া, অন্তঃপুরের নিভৃতকক্ষে জীবন অতিবাহিত করিয়াছিলেন । শরৎকুন্দরী,

  • ইহা ভিন্ন, আর্য্যশিক্ষাপ্রণালীর মূলে আর একটা অদ্ভুত উপায় ছিল । জাতিভেদে কার্যাভেদ ছিল বলিয়া, প্রত্যেক জাতীয় বালক, জ্ঞানোদয় হইতেই, নিজ পরিবারের জাতীয় ব্যবসায় বুঝিতে পারিত । জাতীয় কৰ্ত্তব্যতা, তাহার মৰ্ম্মে ২ প্রবিষ্ট হইয়া, তাহাকে সেই কার্যো অভ্যস্ত করিত। হুতরাং সেই বালক বুদ্ধিমান হইলে, জাতীয় বিদ্যার উন্নতি করিতেও পরিক্ত ।