পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ & • জীবন-চরিত সঙ্কলনের প্রয়োজন কি ? এ প্রশ্নের কতক কতক উত্তর পূৰ্ব্বে বলা গিয়াছে। এখন আর একটা বিষয়, আলোচিত হইতেছে। মহাত্মাগণের জীবন-চরিত সঙ্কলনের দুইটা উদেখ দেখা যায়। আদৌ তাহারা, সমাজস্থিতির সুব্যবস্থায়, সমাজকে যে মূলধন প্রদান করেন, কৃতজ্ঞতার জন্য, সমাজ তাহা স্থায়ী করিতে বাধ্য। দ্বিতীয়ত: সেই আদর্শ সম্মুখে রাখিলে লোক-শিক্ষার সুবিধা হয়। শত শত কবিকল্পিত আদর্শে, চরিত্রগঠনের যত সাহায্য না করে একজন মহাত্মার জীবনীতে, তদপেক্ষা বিস্তর ফললাভ হয়। আর, মহাত্মাগণের কেবল ধৰ্ম্মমাত্র লক্ষ্য হইলেও, তাহদের সাধনাময়ী জীবনী, কিছু না কিছু বিভিন্ন । তাহাদিগকে, সম্ভবতঃ চারি শ্রেণীতে বিশেষিত করা যাইতে পারে। সমাজ, ইহঁাদিগের সকল শ্রেণী হইতেই, প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে সম্পূর্ণরূপে ঋণী । প্রথম এক শ্রেণীর মহাত্মা, জগতকে আপন হইতে অভিন্ন দেখেন । “সৰ্ব্বভুতস্থ মাত্মানং সৰ্ব্বভূতে ত্বমাত্মনি”—এই ভগবঢুক্তি, অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন। তিনি, সংসারের নানা দুঃখের মধ্যে থাকিয়াও, যে পবিত্রত, হৃদয়ে যে সত্যের আনন্দ পাইয়াছেন, তাহা জগৎকে বিলাইয়া থাকেন। তিনি, আপনার উৎকর্ষ মাত্রই, কৰ্ত্তব্য বলিয়। জানেন না ; জগৎকেও সেই পবিত্রতায় লইতে চেষ্টা করেন। তিনি জানেন, বিশ্ব আর বিশ্বাধারে তিনি বিদ্যমুনি, এবং তাহাতে, বিশ্ব ও বিশ্ব-কারণ জগদীশ্বর বর্তমান। অতএব, ধৰ্ম্মাত্মা, যেমন আত্মশুদ্ধি করিতে ব্যগ্র, জগতের পাপ তাপ নিবারণ করিয়া, নিৰ্ম্মল ধৰ্ম্ম-জ্যোতি ছড়াইতেও সেইরূপ দায়ী। * সেই জন্ত তিনি, নানা বিপদ—নানা । átml )

  • T"যতদিন পাপ-দমনকৰ্ত্ত দেখিতে পায়, ততদিন অদৃষ্ঠা থাকে। কিন্ত, যখন দমনকৰ্ত্তা না থাকে, তখন সংসারে অনেকেই পাপী হয়। পাপকে জানিতে