পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*° s مقا J যাতনা সহিয়াg, আপনি, আদর্শস্থানে অটলভাবে থাকিয়া, মানবমাত্রকে সৎপথে আনিতে—সংশিক্ষা দিতে, আমরণ কৰ্ত্তব্য-পরায়ণ । । ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ, বুদ্ধদেব চৈতন্ত, খ্ৰীষ্ট, মহম্মদ এবং শাস্ত্র-প্রণেতা ঋষিরাও অনেকে, এই জাতীয় মহাত্মা ছিলেন। অতএব, জগতে তাহাদিগের জীবনী কত মূল্যবান ! আর এক শ্রেণীর মহাত্মা আছেন, প্রায়শই তাহারা কৃতার্থ হইতে পারেন না । সুতরাং, র্তাহাদিগকে মহাত্মা না বলিয়া, সংশিক্ষক বল। যাইতে পারে। র্তাহারা, আদর্শ মহাত্মার গুণের পক্ষপাতী ! আপনি সাধনার জন্য হৃদয়ে তিলে তিলে একটা অাদর্শ আঁকিতেছেন, কিন্তু, যে দৃঢ়ব্রতে হৃদয় নিৰ্ম্মল হয়, তিনি শেষ পর্য্যন্ত, সেই ব্রত পালন করিতে পারিলেন না ; অথচ হৃদয়ের সেই যত্ন-সঞ্চিত আদর্শ, মুছিয়। ফেলিতেও পারেন না । তিনি বিবেচনা করেন, আমি কৃতকার্য্য হই নাই বলিয়া, সমাজকে কেন বঞ্চনা করিব ! আমার সাধনার চিত্র দেখিয়া, কেহ না কেহ, পথ পাইবে ; কেহ বা, কৃতার্থও হইতে পারে। নীতি, দর্শন, বিজ্ঞানবেত্তা এবং উচ্চ শ্রেণীর কবিরাও, এই শ্রেণীর মধ্যে গণনীয়ু । এই সকল সৎ শিক্ষকের জীবনের, পুনঃ পুন: উত্থান পতনের সহিত, তাহদের প্রণীত পুস্তকের বড়ই ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ । পুস্তকের উৎপত্তি বীজের এবং মীমাংসার সঙ্গে,র্তাহাদিগের আবেগের বড়ই মিল । সুতরাং গ্রন্থের সহিত, প্রণেতার জীবনী পাঠ না করিলে, পুস্তকের উদ্দেশু সম্পূর্ণ বুঝা যায় না । জীবনী দেখিলে বুঝা যায়, তিনি, উহা কেন প্রণয়ন করিয়াছেন। জগতে ইহার দৃষ্টাস্তের অভাব নাই। এস্থলে নবীন কবি পরিয়ারে ব্যক্তি, শক্তি থাকিতেন্ত দমন না করেন, জিতাত্মা হইলেও তিনি, পাপে লিপ্ত হইয়া থাকেন।” ( মহাভারত আদিপৰ্ব্ব ১৮১ অধ্যায় )