পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। । اجراه তিনি সেই বালিকা বয়সে নিজে তাহার এক প্রকার উত্তর দিয়াছিলেন, তাহ পরে বলা যাইতেছে। এখন তাহার প্রকৃতির স্বতঃসিদ্ধ গুণগুলি জানিলে তাহার কথার অর্থ পরিগ্রহে সুবিধা হইতে পারে বলিয়া তাহারই আলোচনা করা যাইতেছে। মৃত্যুর অল্পদিন পূৰ্ব্বে রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ একবার কলিকাতা আসিয়াছিলেন। যোগেন্দ্রনারায়ণ যদিও পূর্বে,একাকী আসিয়াছিলেন ; কিন্তু কিছুদিন পরে তিনি, শরৎসুন্দরীকেও কলিকাতায়। আনাইলেন । এখন শরৎসুন্দরীর বয়স ত্রয়োদশ বৎসর। অথচ তিনি বাল্যকাল হইতে প্রাক্তন সংস্কারে যে অকাম ধৰ্ম্মের বীজ পাইয়াছিলেন, তাহা এখন বৃক্ষে পরিণত হইয়াছে। তিনি কোন দিন আপনার মুখের জন্ত,—আপনার স্বার্থের জন্য অন্তের ইচ্ছা কিম্বা স্বাধীনতায় বাধা দিতেন না। র্তাহার আপনার সহস্ৰ অনিষ্ট হইলেও অন্তের হৃদয়ে আঘাত লাগিতে পারে, কার্য্যে কিম্বা কথায় র্তাহার সেরূপ অসাবধানত কেহ কোন দিন দেখিয়াছিলেন এরূপ বলিতে পারেন না । জীবমাত্রেরই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আছে বলিয়া জীব-জগতের এত উন্নতি। পক্ষান্তরে আবার, পরস্পরের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় যতদুর সাধ্য আঘাত না করিয়া, স্ব স্ব কৰ্ত্তব্য পরিচালনা করাই জীবের অপার মহত্ব। জীবকুলে মনুষ্য সৰ্ব্ব শ্রেষ্ঠ এবং স্বাধীন হইয়াও পরক্ষে সৰ্ব্ব প্রকারে সমাজের অধীন । যে ব্যক্তি আপনার স্বাধীন ইচ্ছার বেগে অকারণে অন্তের স্বাধীনতায় আঘাত করেন, তিনি মনুষ্য ছুইয়াও পশুর অধম । অতএব মনুষ্য মাত্রেরই স্ব স্ব স্বাধীনতা পরিচালনায় একটি আপেক্ষিক সীমা নির্দিষ্ট আছে। তাহা বুঝিয়া । সমাজ কিম্বা কাহারও ব্যক্তিগত আপেক্ষিক স্বাধীনতায় আঘাত্ত