পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাঁরাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত। গবাদি জন্তুকে পরিতোষরাপে আশ্রয় এবং আহার প্রদান করিয়াছিলেন। ইহা ভিন্ন ১২৮০ এবং ৮১ বঙ্গাব্দের ভীষণ দুর্ভিক্ষের সময় তিনি, প্রত্যহ পাচ সহস্ৰ লোককে আহার দিয়াছিলেন, পরে ক্রমে বিস্তর লোক সংখ্যা বৃদ্ধিতে, সৰ্ব্ব জাতিকে পাক করিয়া আহার প্রদানে অসুবিধা হইয়া উঠিলে, তিন চারি মাসকাল অসংখ্য লোককে ত ধুলাদি আহারীয় দ্রব্য এবং নগদ টাকা প্রদান করিয়াছিলেন। কোনও ব্যক্তি সম্পত্তি রক্ষার জন্য র্তাহার নিকটে আশ্রয় ভিক্ষ করিলে, অনেককে তিনি বিনাগুদে ঋণ দিয়া এবং সেই ঋণ পরিশোধে অশক্ত হইলে, তাহ মাপ দিয়া সাহায্য করিয়াছেন । র্তাহার সহিত মোকদ্দমায় পরাভব হইয়া, যদি অতি ধনাঢ্য ব্যাক্তিও তাহার শরণাপন্ন হইতেন, তবে তাহকেও তিনি প্রচুর অর্থ মাপ দিতে কুষ্ঠিত হইতেন না। কোনও একটা মোকদ্দমায় কলিকাতার মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর কে, সি, এস, আই, বাহাদুরকে নুনাধিক এক বিংশতি সহস্র টাকা, এবং গবর্ণমেণ্টের একটা মোকদ্দমার ওয়াশীলাতের ছয় সাত সহস্র টাকা মাপ দিয়াছিলেন। পুস্তক'মুদ্রণ কার্য্যে বিস্তর গ্রন্থকার তাহার প্রচুর সাহায্যে কৃতার্থ হইয়াছেন । মহাভারত প্রচারক প্রসিদ্ধ প্রতাপচন্দ্র রায় সি, এস, আই, মহারাণীর নিকট যথেষ্ট সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াই মহাভারতের অনুবাদপ্রচারে কৃতকাৰ্য্য ইয়াছিলেন। মহারাণীর দত্তক পুত্রের বিবাহ নিমিত্ত দুইটী পাত্রী মনোনীত হইয়াছিল। তন্মধ্যে এক জনের সঙ্গে বিবাহ হয় ; অন্তটা মহিষাড়েরার ত্ৰৈলোক্যনাথ গোস্বামীর কন্ত। এই কন্যার সহিত পুত্রের বিবাহপ্রস্তাব উপস্থিত ছিল বলিয়া মহারাণী সেই কন্যার অন্তত্র বিবাহের । সমস্ত ব্যয় প্রদান করিয়াছিলেন ।