পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৩ ] হইবে । ব্রাহ্মণ বলিলে কেবল পুরুষদিগকে বুঝাইবে, তাহাতে স্ত্রীলোকদিগের ভাব একেবারেই নাই । এই সকল শাস্বমতে স্ত্রীলোকদিগের সাধনায় অধিকার আছে কি ন!, এমন কথা দেখিতে পাওয়া যায় না, মম্বাদির মতে স্ত্রীদিগকে অপদার্থ বলিয়াই বর্ণনা করা হইয়াছে । সুতরাং সীলোকের ব্রাহ্মণকুলে জন্ম গহণ করিলেও তাহদের সাধনার অধিকার নাই । শহারা বোধ হষ যে পর্যান্ত নরাকারে পরিণত না হন, সে পর্য্যস্ত র্তাহীদের ও উপায় ক্ত হতে পাবে না । যদি ও আমাদের দেশীয় শাস্ত্রবিশারদদিগের মতে ব্রাহ্মণ ব্যতীত অপর জাতির সাধনায় অধিকার নাই বলিয়া কথিত হয়, কিন্তু মল্প প্রভৃতি গ্রন্থে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্যাদি দ্বিজের বেদাধ্যয়ন করিতে পারেন, সুতরাং তাহদের সাধনেরও অধিকার থাকিবার সম্ভাবনা । ক্ষত্রিয় রাজারা সংসারাদি আশ্রম পরিভ্রমণপূৰ্ব্বক বানপ্রস্থাশ্রম অবলম্বন করিতেন, ইহা ইতিহাস কহিয়া থাকে। এই বর্ণত্রয়ের সেবাদি কাৰ্য্য ভিন্ন শ দুদিগের অন্য কোন প্রকার সাধনের অধিকার ছিল না । যে সময়ে বর্ণচতুষ্টয় স্থষ্টি হয়, সে সময়ে ইহার কার্য্যবিশেষের নিমিত্ত স্বজিত হইয়াছিলেন, সুতরাং তাহাদিগকে তদনুযায়ী শ্রেণীতে নিবদ্ধ থাকিতে হইয়াছিল। এই জাতিচতুষ্টয়ের সবিশেষ কোন বিবরণ প্রাপ্ত হইবার উপায় নাই । যদ্যপি আমরা এই কথা জিজ্ঞাসা করি যে, ব্ৰহ্মা, কয়জন ব্রাহ্মণ এবং কয়জন ব্রাহ্মণী, কয়জন ক্ষত্রিয় এবং কয়জন ক্ষত্রিয়াণী, কয়জন বৈশু এবং কয়জন বৈশ্বানী, কয়জন শূদ্র এবং কয়জন "দ্রাণী স্বষ্টি করিয়া কিরূপে অসংখ্যক ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ব এবং শূদ্র উৎপাদন করিলেন, তাহা হইলে বাস্তবিক আমরা নিতান্ত অপ্রতিভ হইয়া থাকি । আমরা এমন কোন কথা শ্রবণ করি নাই যে,ব্ৰহ্মার চারিটা