পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২৪ ] অঙ্গ হইতে অনর্গল চারিটী বর্ণের নরনারী বাহির হইয়া পুথিবী প্লাবিত করিয়া দিয়াছিলেন। তবে এই বর্ণচতুষ্টয় বৰ্দ্ধিত হইল কিরূপে ? একথা অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে যে, ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের সংযোগে অসংখ্যক নরনারীর উৎপত্তি হইয়াছে ! এই নরনারীদিগের কার্য্যহিসাবে তাহারা সময়ে সময়ে নানাবিধ শ্রেণী বা জাতিতে পরিণত হইয়াছেন। আমাদের বর্ণচতুষ্টয়ের মধ্যে যবন, মেচ্ছ, কাফ্রি, চীন প্রভৃতি কোন জাতির সমাবেশ হইতে পারে না। তবে কি তাহার ব্ৰহ্মার রাজ্য ছাড়া, না তাহাদিগকে অপর ব্রহ্ম স্থষ্টি করিয়াছেন ? র্তাহাদের স্বষ্টিকৰ্ত্তা স্বতন্ত্র ব্রহ্মা না হইলে বর্ণচতুষ্টয় মধ্যে র্তাহাদিগকে স্থান দিতে হয় । কিন্তু তাহা কিরূপে সত্তবে ? তাহাদিগকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য বলা যায় না, যেহেতু তাহদের যজ্ঞস্থত্র ধারণ করিবার অধিকার নাই। তাহাদিগকে হিন্দুমতে অম্পর্শনীয় বলিয়া ঘৃণা করা হয়। র্তাহাদিগকে শূদ্রও বলা যায় না, যেহেতু তাহারা নিকষ্ট রক্ত্যোপজীবী নহেন। র্তাহারা সকলেই স্ব স্ব প্রধান, সকলেই বিশাল সাম্রাজ্যশালী শৌর্য্য বীর্য্যবান এবং সকলেই স্ব স্ব জাতীয় ধৰ্ম্মানুষ্ঠান দ্বার আনন্দে দিন যাপন করিয়৷ যাইতেছেন। র্তাহাদিগকে শূদ্র বলাও যায় না । তবে তাহারা কোথা হইতে আসিলেন ? তাহাদের গতিমুক্তিই বা কিরূপে হইতেছে ? অনেকে অনুমান করেন যে, তাহার যাহা কিছুই করুন, জন্ম জন্মান্তর ক্রমাতুযায়ী জাতিবিশেষ হইতে উৰ্দ্ধগামী হইয়া ব্রাহ্মণকুলে প্রবেশ করবেন। ব্রাহ্মণ হইলে তাহাদিগেরও সাধনা করিবার যোগ্যতা সঞ্চার হইবে । এই মতে ব্রাহ্মণ জাতিরই ঈশ্বর সাধন করিবার একমাত্র অধিকার । যদ্যপি হিন্দুশাস্ত্রের এই রূপই অভিপ্রায় হয়, যদ্যপি ব্রাহ্মণকুলে জন্মিয় উপবীত ধারণ করিতে পারিলেই ঈশ্বর সাধন করিবার তাহার