পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৪১ ] কামিনীকাঞ্চনের দ্বারা মানসিক শক্তি দুৰ্ব্বল হয় কেন ? তাহার কারণ আমি ক্রমান্বয়ে নানা ভাবে আজ কয়েক মাস বলিয়া আসিতেছি, কিন্তু তথাপি এখনও অনেক বলিবার আছে। বলা হইয়াছে যে, কামিনীকাঞ্চন দ্বারা মনে নানাবিধ সংস্কার পতিত হইয় তাহাকে অবস্থাস্তরে আনয়ন করে। এই নিমিত্ত বিশুদ্ধ মলের কার্য্য হওয়া যারপরনাই অসম্ভব। কামিনীকাঞ্চন অর্থাৎ স্ত্রী পুরুষ ও বিষয়াদি ভাবাপন্ন মনের কার্য্যে স্ত্রী পুরুষ এবং বিষয়ের অবশু সম্বন্ধ থাকিবে, সুতরাং তথায় মনের স্থলভাব রহিয়া গেল। স্থলভাব থাকিলে স্তন্ম, কারণ এবং মহাকারণ ভাব কিরূপে আসিবে ? এ কথা কেই যেন বিস্মৃত না হন যে, সাধনার উদ্দেশু মহাকারণে গমন করা । যদ্যপি স্থলেই বসিয়া থাকিলাম, স্থলেই যদ্যপি ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিলাম, তাহা হইলে উচ্চসোপানে উঠিবার আর যোগ্যতা হইল না, সুতরাং এ প্রকার অবস্থাপন্ন ব্যক্তিকে কখন সাধনের অধিকারী কহ৷ যায় না । ভাবের কার্য্য সূক্ষানু হইতে স্থল্ম । স্কুল জগতে স্থলের কাৰ্য্যই আমরা দর্শন করিয়া থাকি। কিন্তু যাহার স্বক্ষ দৃষ্টি সঞ্চারিত হইয়াছে, তিনি অণু এবং পরমাণুর বিষয়ও ভাবিয়া লইতে পারেন এবং তাহার দর্শনপটে পরমাণুদিগের কার্য্যপরম্পরাও প্রতিফলিত হইতে পারে। তিনি বুঝিতে পারেন যে, কেন বীজ অঙ্কুরিত হয় ? অস্কুরের সময়ে কেন জলের প্রয়োজন এবং তখন উত্তাপ জন্মায় কি জন্য ? কেন স্বৰ্য্যরশ্মি আবশ্বকীয়, কেন বায়ু তথায় উপস্থিত থাকিতে বাধ্য হইয়। থাকে ? স্থলে দেখা যায় যে, মৃত্তিকায় বীজ বপন পূর্বক কিঞ্চিৎ জল ঢালিয়া আবৃত ভাবে রাখিতে হয়। এতদ্বারা যে সকল পরিবর্তন ঘটে, তাহা স্কুলে বুঝা যায় না। সুক্ষ্মে স্বশ্নেরই কাৰ্য্য সম্পাদন হইয়া থাকে, স্মৃক্ষ দৃষ্টিতে তাহ দর্শন করিবার কথা । সেইরূপ কাঞ্চনের