পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R ] সিদ্ধাবস্থাপ্রস্থত কাৰ্য্যকলাপপ্রার্থী ব্যক্তি যে প্রকার সাধনপথে ভ্রমণ করেন, আত্মনিবেদিত পরম বৈরাগী কখন সে প্রকার সাধন গ্রাহ করেন না। ঐশ্বৰ্য্য কামনার বশবৰ্ত্তী হইয়া যাহারা সাধন করেন, তাহাদের সহিত প্রেমিক ভক্তদিগের কার্য্যকলাপ কমিন্‌কালে কোন স্থানে মিলিতে পারে না। এইরূপে প্রত্যেক ব্যক্তির উদ্দেশ্য বস্তু স্থির করিয়া দেখিলে সাধন সম্বন্ধে পৃথক পৃথক ভাব লক্ষিত হইবে । এইরূপ ভিন্ন ভিন্ন সাধন প্রণালী প্রচলিত থাকায় আমাদের পরম্পর সৰ্ব্বদা মতান্তর হইয়া থাকে । সাধন সম্বন্ধে কোন কথা কাহাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি নিজের উদ্দেশ্য এবং তদৃপক্ষীয় সাধনের উপায় ব্যক্ত করিতে বাধ্য হইয়। থাকেন। তিনি নিজ মত ব্যতীত, নিজের দর্শন এবং অভিজ্ঞতা ব্যতীত, অন্যের উদ্দেশ্য ও সাধন বলিয়া দিবেন কিরূপে ? সুতরাং ধৰ্ম্মজগতে চিরকাল সাধন লইয়া বিবাদ বিসম্বাদ চলিয়া আসিতেছে । এই নিমিত্তই সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মের সর্বদা দ্বেষভাব লক্ষিত হয়, এই নিমিত্তই একজন সাধক অপরকে অবজ্ঞা করেন । এই নিমিত্ত সাকার বাদী নিরাকারবাদার সাধন দেখিলে এবং নিরাকারবাদী সাকারবাদীর কার্য্য দেখিলে পরস্পরের প্রতি পরস্পরের অবজ্ঞার উদ্রেক হইয় থাকে। সাধনপথের পথিকদিগের এই চিরবিবাদ ভঞ্জন করিবার নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেব অবতীর্ণ হইয়া সৰ্ব্বসাধারণের কল্যাণার্থ যে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন, তাহাই আমি প্রচার করিবার উদ্দেশ্যে অদ্য সাধারণের সমীপে উপস্থিত হইয়াছি। এক্ষণে রামকৃষ্ণদেবের যদ্যপি কৃপা হয়, তাহা হইলে তাহার উপদেশের মৰ্ম্ম প্রকাশ করিতে কৃতকার্য্য হইব । সাধনের তাৎপৰ্য্য বাহির করিলে কৰ্ম্ম বুঝায় এবং উদ্দেশ্যানুসারে কৰ্ম্মের সূত্রপাত হইলেও পাত্রবিশেষের অবস্থার দ্বারা তাহা সম্পাদিত