পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 58%. J থাকে। এইরূপ পরিবর্তন প্রায় চত্তারিংশ বর্ষ পর্য্যন্ত দেখা যায়। চল্লিশ বর্ষ গত হইলে মস্তিষ্ক ক্রমে কমিতে আরম্ভ হয় এবং দশ বৎসরের মধ্যে উহা স্বভাবতঃ অৰ্দ্ধ ছটাক ওজনে কমিয়া যায় । সুতরাং ইহার সহিত মানসিক বৃত্তি গুলিও হীনবল হইয়া আইসে । আমরা এক্ষণে যদ্যপি মনুসংহিতার মতে পূৰ্ব্বকালের ব্রাহ্মণদিগের শিক্ষার ব্যবস্থ৷ তুলনা করিয়া দেখি, তাহা হইলে বুঝিতে পারিব যে, অন্ততঃ ষটত্রিংশদ্বর্ষ পর্য্যন্ত গুরুকুলে বাস করিয়া অধ্যয়ন করিতে হইত। তাহার পর, হয় সাধনা, না হয় সংসার। ৩৬ বৎসরের পর পূর্ণ মস্তিষ্ক থাকে, সেই মস্তিষ্কের দ্বারা সাধনা হইবার প্রকৃত সাধকের অবস্থা এবং তজ্জন্ত র্তাহারাই সাধনের অধিকারী হইতেন । ৩৬ বৎসরের পর সংসারে প্রবেশ করিলে মস্তিষ্কের পরিবর্দ্ধন তৎকালে স্বল্প হইলেও তাহ স্থগিত হইয়া যায় এবং তৎসঙ্গে হীনবীৰ্য্য হইলে ৪০ বৎসরের পর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ক্ষয়ের সহিত সঙ্কল্পিত ক্ষয় বৃদ্ধি হইয়া মানসিক বৃত্তি অচিরাৎ দুৰ্ব্বল হইবে কি না আর চিন্তা করিয়া দেখিতে হইবে না । ৩৬ বৎসরের পর অন্ততঃ পঞ্চাশবর্ষ পর্য্যন্ত সাধনা করিলে পূর্ণ মস্তিষ্ক প্রাপ্ত ন হইবার কোন আশঙ্কা থাকে না, কিন্তু সেই সময় হইতে তাহাকে ক্ষয় করিলে তদ্বারা সাধন হইবে মনে করা উপহাসের কথা । পুরাকালে যাহারা ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম ত্যাগপূৰ্ব্বক সাধনা করিয়াছেন, তাহারাই সমাধিলাভ করিয়া মহাকরণে উপনীত হইতে পারিয়াছেন । যাহার। তাহা করেন নাই, তাহারা সমাধিস্থ হইতেও পারেন নাই । ব্রহ্মচৰ্য্যাশ্রম অতিক্রম করিয়া যাহারা সাধনায় নিযুক্ত হন, তাহদের মনে কামিনীকাঞ্চন ভাব থাকে না । তাহার। যেমন বালক, বয়োবৃদ্ধ হইলেও তেমনি বালক থাকেন। এই জন্য তাহারাই সাধনের একমাত্র অধিকারী ছিলেন ।