পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ১৫০ ] মাত্র। যেমন কেহ সঙ্কল্পের অনুবত্তী হইয়া কখন দিগম্বর, কখন সাম্বর, কখন হাট কোট পরা, কখন মলিন বেশধারী। বেশাদি সংযুক্ত সেই ব্যক্তির এক অবস্থা এবং বেশ পরিত্যাগ করিলে সেই ব্যক্তির স্বতন্ত্র অবস্থা হইয়া থাকে। সেইরূপ সঙ্কল্পযুক্ত পরমাত্মাকে জীব কহে এবং সঙ্কল্পবিহীন জীবই পরমাত্মা বলিয়া উল্লিখিত হইয়া থাকেন। যেমন দৃষ্টান্তস্বরূপ বায়ু গৃহীত হউক। বায়ু সৰ্ব্বত্রে এক ভাবে অবস্থিতি করিতেছে, সেইরূপ পরমাত্মা একভাবে সৰ্ব্বব্যাপী রূপে সৰ্ব্বত্রে বিরাজ করিতেছেন। বায়ু আধারবিশেষে কাৰ্য্যবিশেষ দ্বারা আখ্যাবিশেষ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। যেমন জীবদেহে বায়ুর এক প্রকার কার্য্য, উদ্ভিদদেহে সেই বায়ুর কার্য্য স্বতন্ত্র প্রকার । জালা,কলসী, ভাড়, গেলাস,ঘর, বাড়ী প্রভৃতি প্রত্যেক বস্তুতে বায়ু রহিয়াছে কিন্তু স্থল ভাবে দেখিলে পাত্রবিশেষে প্রত্যেকের বায়ু যেন এক নহে বলিয়া প্রতীতি হয়, জালার বায়ুর সহিত ক্ষুদ্র ভীড়ের বায়ুকে এক বলিয়া বুঝিয়া লওয়া অজ্ঞানের কৰ্ম্ম নহে। পরমাত্মার লীলাভাবও তদ্রুপ। তিনি সঙ্কল্পবিশেষে অবতার রূপে পরিভ্রমণ করেন। এ অবস্থায় তাহার চক্ষে যেন এক খানি পাতলা বস্ত্র বাধা থাকে। সঙ্কল্পবিশেষে তিনি বিষয় কুম্ভীরের ন্যায় অর্থাৎ সহস্ৰ সহস্রধান। ক্যাম্বিসের দ্বারা চক্ষু বাধিয়া রাখেন । কখন সঙ্কল্প হিসাবে অচল হইয় এক স্থানে পড়িয়া থাকেন। যেমন আমরা ধনোপার্জন করিতে দেশ দেশাস্তরে গমন করিয়া থাকি, দেশান্তরে যাওয়া আমাদের সঙ্কল্পবিশেষ। যত দিন আমর। সঙ্কল্পের উপর সঙ্কল্প করি, ততদিন আর দেশে ফিরিয়া আসা হয় না । দেখাস্তরে থাকিয়া পুনরায় নূতন সঙ্কল্প করিলে হয় ত সেই দেশেই চিরস্থায়ী হইতে হয় অথবা তথা হইতে অন্য স্থানে যাইতে বাধ্য হইতে হয় । তথা হইতে পুনরায় সঙ্কল্প বাহির করিলে আর সহজে