পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ (tలి ) বায়ুর স্থানিক স্বতন্ত্র ভাব লক্ষিত হয়, সেই প্রকার দেহমধ্যস্থিত আত্মা পাত্রের বায়ুর ন্যায় জীবাত্মা রূপে পরমাত্মা হইতে পৃথক্ বলিয়া সৰ্ব্ব প্রথমে জ্ঞাত হওয়া যায়। যেমন জালা-রূপ সঙ্কল্প ভাঙ্গিয়া দিলে জালাস্থিত বায়ু ভূবায়ুর সহিত একাকার হইয়া যায়। সেইরূপ জীবদেহ হইতে আত্মবুদ্ধি অপস্থত হইলে অর্থাৎ জীব সঙ্কল্পবিহীন হইলে জীবাত্মা আশ্রয়চু্যত হইয়া পরমাত্মাতে বিলীন হইয়া যান। জীবের দেহ লইয়া সঙ্কল্পের সঞ্চার ও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, এই দেহঙ্কানকে অহঙ্কার বলে । অহঙ্কার দুইরূপে কাৰ্য্য করে । দেহ লইয়া এবং দেহ ছাড়িয়া । দেহ লষ্টয়া যে অহঙ্কার বৃদ্ধি হয়, তাহাকে সঙ্কল্প কহে। এই সঙ্কল্পযুক্ত নরনারী জীব শব্দে অভিহিত হইয়া থাকেন। দেহ লইয়া সঙ্কল্প করিলে দৈহিক কাৰ্য্যই বৰ্দ্ধিত হয়। কামিনীকাঞ্চন এইরূপ সঙ্কলের ফলস্বরূপ । কাঞ্চনের দ্বারা সঙ্কল্পের অবসান হয় না, তাহ আমরা অনায়াসে বুঝিতে পারি। আমার অর্থ আছে কিন্তু তাহাতে আমার স্বত্ত্ব নাই, এরূপ ভাবে কেহ কখন কাঞ্চনের সহিত সম্বন্ধ রাখিতে পারেন না। তাহা হয় না, হইবার নহে। রামকৃষ্ণদেব সে সম্বন্ধে আপনি কার্য্য করিয়া শিক্ষা দিয়াছেন। লক্ষ্মীনারায়ণ নামক জনৈক মাড়োয়ারী রামকৃষ্ণদেবকে দশহাজার টাকা প্রদান করিতে মনস্থ করিয়া, কিরূপে এই প্রস্তাব করিবেন, তাহার সুবিধা অন্বেষণ করিতেছিলেন । একদা রামকৃষ্ণদেবের বিছানার চাদর ছিন্ন দেখিয়া লক্ষ্মীনারায়ণ অতি বিনীত ভাবে কহিয়াছিলেন যে, অনুমতি হয় ত আমি আপনার নামে দশহাজার টাকার কোম্পানীর কাগজ কিনিয়া দিই। তাহার সুদে আপনার সমুদয় খরচ সংকুলান হইবে। রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছিলেন যে, দিন চলিয়া যাইতেছে । আমার কোন ক্লেশ হয় নাই। তোমার সাহায্যে প্রয়োজন নাই। লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, আপনার বিছানার