পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৫২ ] হন, এ কথা মনে করিলে পাপ হয় বলিয়া অনেকের ধারণা। সে ধারণ অষ্ঠায় নহে, এবং অনধিকারীর ওরূপ জ্ঞান থাকা অপেক্ষা না থাকা বাঞ্ছনীয়। স্থূল জগতে আমরা নানাবিধ বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মযুক্ত পদার্থ দেখিতে পাইয়া থাকি। আমরা দেখি মনুষ্য, গে, অশ্ব, হস্তী, ছাগ ইত্যাদি । এই জীবগণ কি এক জাতীয় ? এক জাতীয় না বলিবার দোষ কি ? মনুষ্য দেহেও রক্ত মাংস এবং চৈতন্য বিরাজ করিতেছে, গো মহিষাদিতেও অবিকল সেইরূপ পদার্থ সকল আছে,তবে গো,মহিষ এবং মনুষ্যাদি এক শ্রেণীর জীব বলিয়া উল্লিখিত না হইবে কেন ? শরীর এবং শারীরিক গঠন ও চৈতন্য বিচার করিলে কেহই স্বতন্ত্র নহে । সকলের শোণিত এক প্রকার, শোণিত হইতে শুক্রের উৎপত্তি, তাহাও এক প্রকার, কার্য্যহিসাবে আকৃতির রূপান্তর হয় মাত্র । সেই কাৰ্য্যের কারণকে সঙ্কল্প কহে । মানুষ যখন গরুর মত সঙ্কল্প করে, তখন তাহাকে তদাকারে পরিবৰ্ত্তিত হইতে হয় । এইরূপ পরিবর্তন হওয়া সঙ্কল্পের দ্বারা সাধিত হয়। যেমন জল সঙ্কল্লের হিসাবে বরফ এবং ৰাষ্প হয়। ইচ্ছা করিলে তাহাকে যে কোনরূপে অনন্তকাল পর্য্যন্ত রাখা যায়। সেইরূপ গো মনুষ্য ভগবানের সঙ্কল্পবিশেষের কার্য্য ব্যতীত আর কিছুই নহে। এইজন্য প্রত্যেক জীবই পরমেশ্বরের লীলারূপবিশেষ বলিয়া কথিত হয় । ভগবানের জৈবাবস্থা আমাদের প্রবাসে বাস করা অথবা চক্ষে বস্ত্রাবরণ দেওয়ার ন্যায় বুঝিতে হইবে। স্বগৃহে প্রত্যাগমন কিম্বা চক্ষুর বস্ত্রোন্মোচন করিলেই সঙ্কল্পের অবসান হইয়া যায়। জীবদিগের পক্ষে মায়াবরণ সরাইয়া সঙ্কল্পের উপসংহার পূর্বক জীবাত্মাকে স্বপ্রকাশ করিতে পারিলেই পরমাত্মার সহিত একাকার হইয়া আইসে । যেমন জাল এবং তাড়ের বায়ু, জাল ও ভাড় রূপ আবরণের দ্বারা মূল