পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 566 যে, তৈল এবং জলের সন্ধিস্থান অচিরাং বিকৃত হইয়া আইসে, এবং তৈল ক্রমে পচিয়া যায়। লক্ষ্মীনারায়ণ অপ্রতিভ হইয়া পুনরায় কহিলেন যে, তবে আপনার কোন বিশ্বাসী আত্মীয়ের নামে লিখিয়া দিই। রামকৃষ্ণদেব তাহাতে বিরক্ত হইয়া কহিলেন যে, বেনমা করিয়া বিষয় রাখা অপেক্ষ আত্মপ্রতারণা আর কি হইবে ? ইহার দ্বারা মানসিক বিকৃতির আর অবধি থাকিবে না। মনে জানিব আমার অর্থ লোকের নিকট নিলোভী পরম সাধু বলিয়া পরিচিত হইবার অভিপ্রায়ে বেনামী করিয়া রাখিয়াছি ; ইহার দ্বারা কি আমি অদ্য এ কথা বুঝিব না ? এ প্রসঙ্গ যে রূপে শেষ হয়, তাহ রামকৃষ্ণতত্ত্বে আমি বলিয়াছি। আমাদের অদ্যকারপ্রস্তাব সম্বন্ধে যাহা প্রয়োজন, তাহা উল্লিখিত হইল। কাঞ্চন লইয়া নিলিপ্ত ভাবে কখন অবস্থিতি করা যায় না! অনেকে জনক রাজার দৃষ্টান্ত দিয়া থাকেন কিন্তু তাহার একবার ভাবিয়া দেখেন না যে, সত্য ত্রেতা দ্বাপর এবং কলি, এই চারি যুগের মধ্যে কয়জন জনক জন্মিয়াছেন ? অনেকে সখ করিয়৷ জনক হন বটে। অনেকে পুত্রাদির প্রতি বিষয়ের ভার দিয়া নির্লিপ্ত ভাবের পরিচয় দিতে চেষ্টা করেন বটে কিন্তু কে র্তাহার অন্তর অমুসন্ধান করিয়া দেখিয়াছেন, কেই বার্তাহাকে পরীক্ষা করিয়া লইয়াছেন? কাঞ্চন হস্তাস্তরে থাকিলেও মনের সম্বন্ধচু্যত হয় না। লক্ষ্মী নারায়ণ যখন বেনামী করিয়া টাক। রাখিতে পরামর্শ দিয়াছিলেন, তখন রামকৃষ্ণদেব বলিয়াছিলেন যে, আমি জানিব যে আমার টাকা আছে, কাহাকে কিছু অবগুই দিতে ইচ্ছা হইবে। অন্ততঃ গাড়ী ভাড়৷ দিতেও বলিব ! এই জন্য রামকৃষ্ণদেব কহিয়াছেন যে, সাধন করিতে হইলে কাঞ্চনের সহিত কোন মতে কোন ভাবে আত্মসম্বন্ধ স্থাপন করা একেবারেই অকৰ্ত্তব্য । ইহার দ্বারা অহঙ্কার দেহের দিকেই