পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ stv ধাবিত হইয়া থাকে। সুতরাং ক্রমাগত সঙ্কল্পাবরণ পতিত হইয়। যায় ] কামিনীর দ্বারা অতিশয় অহঙ্কার বৃদ্ধি হয় । ইহাতে দৈহিক ব্যাপারই চূড়ান্ত রূপে সাধিত হইয়া থাকে। দৈহিক কার্য্যের সঙ্কল্প করিতে করিতে মনের সমুদয় শক্তি নিঃশেষিত হইয়া যায়। আমার স্ত্রী, আমার স্বামী বলিলে সঙ্কল্প এবং অহঙ্কার উভয়কেই বুঝায় । এই সঙ্কল্প এবং অহঙ্কার কেবল তথায় সীমাবদ্ধ থাকে না। স্ত্রী পুরুষের অহঙ্কার অর্থাৎ আমরা স্ত্রী পুরুষ বোধ করিয়া সহবাস স্পৃহা রূপ সঙ্কল্প পথারূঢ় হইলে শুক্র স্থলিত হয়। শুক্রে অসীম চৈতন্যবিশিষ্ট কীটবিশেষ বহির্গত হইয়া থাকে। এই কীট দ্বারা সন্তান জন্মে। এই নিমিত্ত সস্তানকে অহঙ্কার বা সঙ্কল্পপ্রস্থত পদার্থ কহে । কথা হইতে পারে, যে স্থানে সেরূপ সঙ্কল্প নাই, যে স্থানে কেবল ইন্দ্রিয় চরিতার্থই সঙ্কল্প হয়, তথায় অনিচ্ছাসত্ত্বে সন্তান জন্মিলে তাহাকে সঙ্কল্পের কার্য্য বলা যাইবে না কি ? যদিও সস্তানকে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে এ স্থানে সঙ্কল্পিত কাৰ্য্যপ্রস্থত না বলা হউক কিন্তু পরম্পর সঙ্কল্প অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । যেহেতু স্ত্রী পুরুষ সংযোগ সঙ্কল্পের আশ্রয়ী ভূত। সে যাহাহউক, সঙ্কল্প ব্যতীত অহঙ্কারের বিশেষ কাৰ্য্য দেখিতে পাওয়া যায় । শুক্র অহঙ্কারের মূৰ্ত্তিবিশেষ । এই নিমিত্ত সস্তানাদিকে আত্মজ ও আত্মজা কহ যায় । অর্থাৎ আত্ম হইতে জন্মায় বলিয়া তাহার এই নামে সুপ্রসিদ্ধ । সাধন ভজন আত্মকল্যাণ অকল্যাণ এই স্থানেই সম্পূর্ণ নির্ভর করে। অতএব এই বিষয়টিী বুঝিয়। লওয়া সকলের কর্তব্য । অনেকে মনে করেন যে, এইরূপ প্রসঙ্গকে অশ্লীল বলে কিন্তু তাহী মনে করাই অশ্লীলতা । ভিত্তির সুব্যবস্থা ন হইলে তদুপরি বৃহৎ