পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬১ ] সোণা যেমন সঙ্কল্পাঙ্কুসারে মোহর, টাকা, পয়সা এবং কড়িতে বিস্তীর্ণ হইয়া পড়িল, সেইমত পরমাত্মাও জীবাত্মার পুত্র পৌত্ৰাদি এবং অন্যান্য নানা প্রকার সঙ্কল্পে বিভাজিত হইয় পড়েন। এক টাকায়, একটা পয়সায় অথবা এক কড়া কড়ির দ্বারা মোহর পূর্ণ হয় না, সেইরূপ সঙ্কল্প বিস্তারিত করিয়! কোন নরনারী সাধনের অধিকারী বা অধিকারিণী হইতে পারেন না, পয়সা বা কড়ি মোহরের অংশবিশেষ বটে, কিন্তু তাই বলিয়া সে একাকী মোহরত্বলাভ করিতে পারে না ; পয়সা মোহরের অংশ বটে কিন্তু তাহার মূল্যের সহিত মোহরের তুলনা হয় না। একটী টাকা মোহরের অংশ বটে, তাহা অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু উহা মোহর নহে, সেই প্রকার সঙ্কল্পবিশিষ্ট নরনারী সম্পূর্ণরূপে পূর্ণত্বহীন সুতরাং কিরূপে তাহারা মহাকারণে গমনের অধিকারী ও অধিকারিণী হইবেন । সঙ্কল্পবিবর্জিত না হইলে আত্মার পূর্ণত্ব রক্ষা হয় না। কামিনীকাঞ্চনকেই সঙ্কল্প কহে, অতএব যাহার কামিনীকাঞ্চন ভাব না থাকিবে, সেই নরনারীই সাধনের অধিকারী এবং অধিকারিণী। কথিত হইয়াছে যে, মহাকারণে অর্থাৎ পরমাত্মাতে মিলিত হওয়া জ্ঞান মার্গের উদ্দেশ্য। জ্ঞান মার্গে স্কুল, স্থল্ম এবং কারণ অতিক্রম করিয়া যাইতে হয়। স্থলে সম্পূর্ণ সঙ্কল্পের কার্য্য হইয়া থাকে, স্কুলে বসিয়া সুক্ষ্ম এবং কারণের অকুশীলন হইতে পারে বটে কিন্তু তাহার কাৰ্য্য হওয়া একেবারেই অসম্ভব । , কড়ি হইয়া মোহর হওয়া যায় না, তেমনি কামিনীকাঞ্চনে লক্ষভাগে বিভক্ত হইয়া আত্মার পূর্ণত্ব সমাধান পূর্বক কিরূপে পরমাত্মার সন্নিধানে যাইবার যোগ্যতা লাভ হইবে ? অতএব সাধনে ব্রতী হইতে হইলে কামিনীকাঞ্চন ভাব হইতে এককালে সম্যকরূপে S 5