পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৬২ ] বিমুক্ত হইতে হইবে। এরূপ নরনারী ব্যতীত অন্তের সাধনে অধি কার নাই। দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ ভক্তি মার্গের সাধনেও কামিনীকাঞ্চন ভাব সত্ত্বে তাহা সাধিত হইতে পারে না। যে হেতু যে সকল অবতার বা দেবদেবীর অর্চনা বা সাধন করা যায়, তাহারা এক্ষণে লীলা রূপে উপস্থিত নাই । শ্ৰীকৃষ্ণকে লাভ করিতে হইলে তাহার সাধনা করা চাই। কিরূপে এবং কে তাহাকে সাধন করিবে ? তাহাকে ধ্যান করিতে হইবে, তাহার নাম জপ করিতে হইবে, তাহার গুণগাণ বা ভজনা করিতে হইবে। এই সকল কার্য্যেই মানসিক বলের প্রয়োজন কিন্তু সে মন কোথায় ? মন কামিনী কাঞ্চনে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে ; মন স্থির হইবে না, সাধনা হইবে কিরূপে ? সাধন কার্য্য মনের, হাত পায়ের বা মুখের নহে। অনেকে হাতে মালা জপ করেন কিন্তু মুখে রাজা উজীর মারিয়া বেড়ান, সে জপের লাভ কি ? এই প্রকার সাধনের দ্বারা কি কেহ অদ্যাপি শ্রীকৃষ্ণের দর্শন লাভ করিয়াছেন ? যদ্যপি ভগবানের লীলা রূপ দর্শন করিতে ন পারা যায়, তাহা হইলে সাধন করা না করা সমান ফল। প্রভু বলিতেন যে, “গৌরাঙ্গ বলেন শুন নিত্যানন্দ ভাই । সংসারী জীবের গতি কোন কালে নাই ॥” কামিনীকাঞ্চনে বিক্রীত দাস র্যাহারা, তাহাদের না নিত্য, না লীলা, কোন মার্গেই পরিভ্রমণ করিবার অধিকার নাই । এক্ষণে কথা হইতেছে যে, এত লোকে ত্রিসন্ধ্যা করিতেছেন, এত লোকে সাধন ভজন করিতেছেন, এত লোকে ভগবানের নাম অবলম্বন পূর্বক মাতিয়া রহিয়াছেন, ইহারা সকলেই সংসারী, সকলেরই কামিনীকাঞ্চন সম্বন্ধ আছে, তাহাদের কি হইতেছে, তাহারা কোথায় যাইতেছেন ? কামিনীকাঞ্চনের ভাব সত্ত্বে সাধনে অধিকার হয় না, ইহ