পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৫ } இக অবস্থা নহে। সাধকের জীবনের লক্ষ্য স্বতন্ত্র, গৃহীর জীবনের লক্ষ্য স্বতন্ত্র, সাধক আত্মা ও পরমাত্মাকে স্বপ্রকাশ করিতে চাহেন, গৃহী আত্মাকে সহস্ৰ সহস্র হস্ত পরিমিত মৃত্তিকাগর্ভে নিক্ষেপ করিতে চাহেন। সাধক মহাকারণে গমন করিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকেন, গৃহী স্কুলের স্থলে বিচরণ করিবার ব্যবস্থা করেন। সাধক সঙ্কল্পের মস্তকে অশনি নিপাতন পূর্বক পূর্ণাত্মা হইয়া পরম ব্রহ্মে বিলীন হন, গৃহী অসংখ্যক সঙ্কল্পের বশবৰ্ত্তী হইয়া পৃথিবীমণ্ডলে নানারূপে নানা ভাবে বিহার করিয়া থাকেন। অতএব সাধক এবং গৃহীর ভাব এক স্থানে থাকিতে পারে না। সাধকের গৃহী হইতে পারেন না এবং গৃহীরা সাধক হইতে পারেন না। এই কথা বলিলে অনেকে জনকের উপমা দিয়া থাকেন ; কিন্তু সে উপমা গৃহীদিগের মমের ছলনা মাত্র । চারিযুগের মধ্যে জনক ব্যতীত দ্বিতীয় গৃহী সাধকের কথা প্রকাশ নাই, তখন সে কথা সৰ্ব্বসাধারণে প্রয়োগ হইতে পারে না । তবে অধিকারী কে ? পুরাকালে কামিনীকাঞ্চন-ত্যাগী অর্থাৎ বাল-সন্ন্যাসী হইয়া যে কেহ কঠোর তপশ্চারণ করিতে পারিতেন, তাহারাই সাধনের অধিকারী হইতেন, এই জন্য ব্রাহ্মণই তপঃ কার্য্যের এক অদ্বিতীয় অধিকারী ছিলেন । র্তাহারাই প্রথমাবস্থায় অধ্যয়ন করিয়া ঘুবাকালে সন্ন্যাসী হইয়া পরমাত্মা ধ্যানে নিযুক্ত থাকিতেন। তাহাদের মস্তিষ্ক বলবান থাকিত, তাহদের শুক্রক্ষয় দ্বারা সঙ্কল্প বাহির হইত না এবং কাঞ্চনের নিমিত্ত মানসিক চিন্তা অথবা সংস্কারবিশেষ লাভ হইত না, সুতরাং পূর্ণ মন থাকিত। তাহাদের মনে পৃথিবীর কোন ভাব অধিকার পাইত না। এইরূপ ব্রাহ্মণ ব্যতীত গৃহী ব্রাহ্মণের কখন সমাধি লাভ করিতে পারেন নাই ; রামকৃষ্ণদেব বর্তমান কালে পাত্র বিচার করিয়া বলিয়া গিয়াছেন যে, কেবল কামিনী