[لاسواد ] 행 কিন্তু কি করা যাইবে ? আমরা রামকৃষ্ণ মন্দিরের জন্য বিশেষ চেষ্টায় রহিলাম, কিন্তু আমাদের দ্বারা কি হইবে ? আমরা যন্ত্রবৎ কার্য্য করিয়া যাইতেছি। আমরা প্রভুর মুখাপেক্ষা করিয়া রহিলাম । দ্বিতীয় বিভীষিক সেবকমণ্ডলীর অসুস্থত। যে সকল সেবকগণ কাকুড়গাছী যোগোষ্ঠানে প্রভুর সেবায় নিযুক্ত হইয়াছেন, তাহারাই এই প্রচার কার্য্যের বিশেষ বল এবং ভরসা। বলিব কি, অদ্য র্তাহীদের মধ্যে অনেকে জয়রোগে অচেতন হইয়া রহিয়াছেন ; উঠিবার সামর্থ্য নাই । আমার নিজের কথা বলিয়া সকলকে বিষাদিত করিতে ইচ্ছা হইতেছে না, কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে তাহ বলাও কৰ্ত্তব্য । কারণ, বলিতে পারি না, হয় ত কোনদিন বক্তৃতার বিজ্ঞাপন দিয়া অনুপস্থিত হইয়। গড়িব । পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, বিগত দুই মাস হাপানি পীড়ায় বিশেষ কাতর হইয়া রহিয়াছি। এমন দিন নাই, যে দিন না হাপানি দেখা দেন। ঔষধের বিক্রমে কাৰ্য্য করিয়া বেড়াই। একে ডায়াবিটিস রোগে শরীর পূর্ব হইতেই ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, তাহাতে হাপানির সর্বদ গতিবিধি হইতে থাকিলে পরে যে কি দাড়াইবে, তাহ রামকৃষ্ণদেবই জানেন। যাহা হউক, আমাদের অবস্থা আপনাদিগকে জানাইয়া রাখিলাম, যদ্যপি কখন কথার ব্যতিক্রম হয়, দয়া করিয়া আমাদিগের অপরাধ মার্জনা করিবেন। ইতিপূৰ্ব্বে আমি যে সকল বিষয় লইয়া আলোচনা করিয়াছি, তাহ হইতে অদ্যকার বিষয় কোন অংশে স্বল্প প্রয়োজনীয় অথবা সহজ নহে । আমার বিবেচনায় আত্মা প্রসঙ্গটা সৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন এবং সকলের অবশ্য জ্ঞাতব্য বিষয়। আত্মা বিশ্বাস করিলে তবে ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের কথা স্থান পায়, আত্মা বিশ্বাস না করিলে সে নাস্তিক হয় এবং শিশ্নোদরপরায়ন হইয়া পশুবৎ আচার ব্যবহার দ্বারা সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিয়া
